News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

কলাপাড়ায় যুবদল নেতার পা ভেঙ্গে দিলো যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

মানবাধিকার 2025-04-10, 11:28pm

rakib-biswas-leader-of-dhulasar-union-jubadal-under-mohipur-thana-admitted-to-the-kalapara-hospital-with-leg-injuries-on-thursday-10a22f8f9a8f3e2006fa846672c2092b1744306129.jpg

Rakib Biswas, leader of Dhulasar Union Jubadal under Mohipur thana admitted to the Kalapara Hospital with leg injuries on Thursday.



পটুয়াখালী:  পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিব বিশ্বাস (৩০)কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার রাত নয়টায় ওই ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারের নিউ মার্কেটের পশ্চিম পাশের বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় পিটিয়ে রাকিবের বাম পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এছাড়া মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা  হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

যুবদল নেতা রাকিব বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরন করে ধুলসার ইউনিয়ন পরিষদ। সেখান থেকে খবর আসে বেশ কিছু নিবন্ধিত জেলের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পছন্দমতো ব্যক্তিদের চাল প্রদান করছেন ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (মাষ্টার)। যাদের তিনি চালের স্লিপ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। পরে মহিপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাবু ও ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ সহ আমরা বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে চাল দেয়া বন্ধ করে দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। এসময় আবু বক্কর সিদ্দিক মাষ্টারের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত নয়টায় আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রিন্স খলিফার গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখান থেকে ধুলাসার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক ওসমান গাজী গোপনীয় কথা আছে বলে আমাকে বাজারের পশ্চিম পাশের বালুর মাঠে নিয়ে আসে। পরে সেখানে বসে আমাকে লাঠিসোটা,  বগি দা, লোহার পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক, যুবদলের সদস্য আল-আমিন, আবু বক্কর, মহিব, জালাল উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য নাঈম ফরাজী বেধড়ক মারধর করে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে তারা আমাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমার জ্ঞান ফেরে।

এ বিষয়ে ধুলাসার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (মাষ্টার) বলেন, আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি তো দুরের কথা তার সঙ্গে আমার কোন কথাই হয়নি। মারধরের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। 

ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু বলেন, গতকাল রাতে ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন রাকিবকে কারা যেন মারধর করেছে। এবিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।

মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। - গোফরান পলাশ