News update
  • Resumption of US Tests May Trigger Threats from Other Nuke Powers     |     
  • Zubaida goes to Evercare again at night to stay beside Khaleda     |     
  • Urgent earthquake preparedness underlined to minimise damage     |     
  • International Day of Persons with Disabilities celebrated at Barura     |     
  • Bangladesh achieves 97% typhoid vaccine coverage for children     |     

চার মুসলিম খুনের অভিযুক্ত অ্যামেরিকায় গ্রেপ্তার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2022-08-11, 9:43am




অ্যামেরিকার নিউ মেক্সিকোতে চারজন মুসলিম ব্যক্তিকে খুন করার দায়ে অবশেষে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলো।

মঙ্গলবার যে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে, তার বয়স ৫১ বছর। পুলিশ তার গাড়ি ট্র্যাক করে তাকে ধরে। সে একজন আফগান। ওই ব্যক্তি অপহরণ ও গুলি করে চারজনকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের অভিযোগ। তার মধ্যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুইজনকে হত্যার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। অন্য দুইটি হত্যার ক্ষেত্রে তাকে প্রধান অভিযুক্ত বলা হয়েছে।

পুলিশ প্রধান হ্যারল্ড মেডিনা বলেছেন, ওই ব্যক্তি পেশায় গাড়িচালক। সে প্রধান অভিযুক্ত।

এর মধ্যে প্রথমজন গত নভেম্বরে খুন হন। তারপর গত দুই সপ্তাহে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। তারা হয় পাকিস্তানি বা আফগান। 

ভয়ের পরিবেশ

নিউ মেক্সিকোর যে শহরে এই চারটি হত্যা হয়েছে, সেখানে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের বাস। তার মধ্যে পাঁচ হাজার মুসলিম। তারা গত কয়েক মাস ধরে রীতিমতো আতঙ্কে আছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ২৭ বছর বয়সি মহম্মদ আফজল হুসেন ছিলেন শহরের প্ল্যানিং ডিরেক্টর। তার ভাই ইমতিয়াজ হুসেন বলেছেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পর শহরের মুসলিমরা আশ্বস্ত হবেন।

ইমতিয়াজ বলেছেন, তার বাচ্চারা জানতে চেয়েছে, তারা এবার বারান্দায় যেতে পারে কিনা। মাঠে গিয়ে খেলতে পারে কি না! তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ও তার পরিবারের অনেক প্রশ্ন রয়েছে, তারা জবাব চান।

৬১ বছর বয়সি মোহাম্মদ আহমেদি ও ৪১ বছর বয়সি আফতাব হাসানকেও হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ বছর বয়সি নইম হুসেনকেও মারা হয়েছে। গত ৮ জুলাই তিনি অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাকে হত্যা করা হয়। তিনি অন্য দুই জনের শেষকৃ্ত্যে অংশ নিয়েছিলেন।

তিনজনই ওখানকার সবচেয়ে বড় মসজিদ ইসলামিক সেন্টার অফ নিউ মেক্সিকোতে প্রার্থনার জন্য গেছিলেন।

মসজিদেরসঙ্গে যুক্ত আনিলা আবাদ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের প্রচুর মুসলিম ভয়ে মসজিদে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। খুব দরকার না হলে তারা বাইরে বেরোচ্ছিলেন না। পাকিস্তান থেকে আসা কিছু ছাত্র তো শহর ছেড়েই চলে গেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা আতঙ্কিত। আমরা এখনো বোঝার চেষ্টা করছি, কেন এমন হলো?'' তথ্য সূত্র ডয়চে ভেলে বাংলা।