এ সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নিকারাগুয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় তাদের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আরও অবনতি ঘটেছে।
প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকার ক্ষমতার উপর তার কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কতদূর যাবে তার একটি সারসংক্ষেপ বিবরণ ঐ প্রতিবেদনে উপস্থাপন করা হয়েছে। নিকারাগুয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক ও ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠস্বরকে চেপে ধরার অভিযোগ আনা হয়েছে, রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট হচ্ছে যা দেশটিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফিল্ড অপারেশনস অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান সালাজার ভলকম্যান বলেন, সরকারের সমালোচনা করেছে এমন কমপক্ষে ১৯৫ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে আটক করা হয়েছে এবং গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হওয়া ৫০ জনকে এ বছর ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৮ বা ২৯ জনকে এখনও পুলিশের ডিটেনশন সেন্টারে অমানবিক অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর মানবাধিকার রক্ষাকারী, ধর্মযাজক এবং আসল বা কথিত বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অনেক ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি হামলা ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে হয়েছে।
ভলকম্যান বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তেমনি গণমাধ্যম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার ওপরও হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, এইসব নিষেধাজ্ঞাসহ জীবনযাত্রা প্রতিকূল হওয়ায় নিকারাগুয়া ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিকারাগুয়ার শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০০,০০০। যাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ রয়েছে কোস্টারিকায়। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ৮৪,০৫৫ জনকে আটক করা হয় তবে ২০২০ সালে ছিল ৫,৪৫০ জন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।