নিরপেক্ষ এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে যে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সেবা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী, নারী বিদ্বেষী এবং সমকামী বিরোধী।
পুলিশের এক দায়িত্বরত কর্মকর্তা ২০২১ সালে একজন নারীকে ধর্ষণ ও খুন করেন বলে জানা যাওয়ার পর এই পর্যালোচনার নির্দেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় এক তৃতীয়াংশের বেশি কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হয়। নারী এবং সংক্ষেপে এলজিবিটিকিউ হিসাবে পরিচিত নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রুপান্তরকামী কর্মকর্তা ও কর্মীদেরকেও দৈনন্দিন ভিত্তিতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে এতে আরও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকের প্রবণতা হল কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। এতে বলা হয় গবেষণায় “ব্যাপক হারে হয়রানি, বৈষম্য, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সমকামীদের বিরোধিতা, নারী বিদ্বেষ এবং বর্ণবাদী ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
কোনরকম উন্নতি না হলে পুলিশ বাহিনী ভেঙে পড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে আভাস দেয়া হয়।
জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব পালনরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে একাধিকবার ধর্ষণের কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনর মার্ক রাওলি বলেছেন তিনি গভীর ক্ষমা প্রার্থী। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।