News update
  • Pahalgam Attack: India, Pakistan Exchange Fire at LoC     |     
  • Dhaka’s air quality turns ‘moderate’ Friday morning     |     
  • 99 cocktails, 40 petrol bombs seized at C’nawabganj border     |     
  • Sewage, trash, disease overwhelm displaced communities in Gaza     |     
  • World leaders rally for ‘full-speed’ climate action ahead of COP30     |     

মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ৬০ ঘণ্টা পর নারীকে জীবিত উদ্ধার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-04-01, 7:10am

wtwewer-d8541342ccdd50b12e96660e23e694801743469847.jpg




মিয়ানমারে সময় যত যাচ্ছে ভূমিকম্পে নিখোঁজ ও আটকে পড়াদের প্রাণ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। ধ্বংসযজ্ঞ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে ৩,৪০০ জনের বেশি এবং এখনো নিখোঁজ দুই শতাধিক।

এর মধ্যে সোমবার (৩১ মার্চ) ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর ওই নারীকে উদ্ধার করেছে তারা। দেশটির কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছে।

চীনা, রাশিয়ান এবং স্থানীয় দল ৫ ঘণ্টার অভিযানের পর মান্দালয় শহরের ধসে পড়া গ্রেট ওয়াল হোটেলের নিচে আটকে থাকা ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। 

চীনা দূতাবাসের ফেসবুক একাউন্টে সোমবার ভোরে এমন একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের অনুসন্ধানকারীরা আরও জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বিশাল ভবন স্তরে স্তরে ভেঙে পড়েছে। সেখান থেকে চীনা উদ্ধারকারী দল একজনকে থার্মাল কম্বলে মুড়ে বের করে নিয়ে আসছেন।

এদিকে, ভায়াবহ পরিস্থিতিতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির জান্তা সরকার। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই শোকের সময় দেশটির জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। খবর এমআরটিভি।

জান্তা সরকারের মুখপাত্র জো মিন তুন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ১ হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩ হাজার ৪০০ জন। এখনও আরও তিন শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।

ভূমিকম্পে অসংখ্য ভবন মাটিতে মিশে গেছে, রাস্তাঘাট ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে, সেতুগুলো ধসে পড়েছে। দেশটির সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হচ্ছে।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবর বলছে, উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য স্থানীয়দের কাছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হাতিয়ার নেই।

রেডক্রসের কর্মকর্তাদের দাবি, গত ১০০ বছরে এই মাত্রার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি এশিয়া।

উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, যাদের সহায়তা দরকার, তারা আমাদের ডাকছেন। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে তাদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না।

প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পরে দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার মৃদু কম্পন অনুভব করা গিয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মান্দালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারের একাধিক অঞ্চল এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে মান্দালয়, সাগাইং, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।