News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়নের আদেশ মার্কিন বিচারকের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-04-12, 2:21pm

erferwerw-97f3f1ed5fdf9caa3ee098fe7c554e8c1744446063.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে রায় দিয়েছেন এক মার্কিন বিচারক।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুই ঘণ্টার শুনানি শেষে লুইজিয়ানা ইমিগ্রেশন জাজ জেমি কোমান্স এ আদেশ দেন।

আদেশে তিনি বলেন, সরকার ‘স্পষ্ট প্রমাণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে তাকে (মাহমুদ খলিলকে) দেশ থেকে বিতাড়িত করা যেতে পারে।

খলিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারক কোমান্স চলমান আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খলিলকে দেশ থেকে বিতাড়নের আদেশ দিয়েছেন।

তবে বিতাড়নের বিপক্ষে আপিলের জন্য তার আইনজীবিদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এই বিচারক। এই সময়ের মধ্যে আপিল জমা না হলে খলিলকে সিরিয়া বা আলজেরিয়ায় বিতাড়িত করা হবে বলে সতর্ক করেন বিচারক।

বিচারকের আদেশের পর তার আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট বলেন, মাহমুদকে বিতাড়নের আদেশ তার ন্যায্য অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি ভিন্নমত দমনের জন্য অভিবাসন আইনের অপব্যবাহারের শিকার হয়েছেন।

গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিবাদে গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন খলিল। গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তারা। পরে তাকে লুইজিয়ানার একটি কারাগারে আটক রাখা হয়।

মাহমুদ খলিলকে বিতাড়নের আদেশ ‘তার পরিবারের ওপর ভয়াবহ আঘাত’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন খলিলের স্ত্রী নুর আব্দাল্লা। তিনি বলেন, প্যালেসটাইনে সাধারণ মানুষের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিত না।

এদিকে, আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম সামাজিক মাধ্যমে বলেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রক ঘৃণা করে, দেশের মানুষদের যে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের সমর্থন করে, ইহুদিদের হয়রানি করে, তাদের বিতাড়ন করাই উচিত।