Kazi Abul Khair, secretary general, Bangladesh Muslim League.
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তৃতীয় পক্ষ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কর্তৃক কঠোর ভাবে পণ্যের মান পর্যবেক্ষণ, ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ল্যাব টেস্ট ধারাবাহিকতা অনুসরণ করার পরও স্বাস্থ্য-ঝুঁকির অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া সহ ১২টি দেশের বাজার থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত পোশাক প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেশের অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ দুর্যোগের আগাম বার্তা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (০৬ নভেম্বর, ২০২৩) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এ মন্তব্য করেন। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিজিএমইএর মত আমরাও আশা করছি, যুক্তিযুক্ত কারণে বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহারের আর দশটি প্রচলিত ঘটনার মত এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পোশাক শিল্পের সাথে সম্পর্কিত যে কোন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়কেও অবশ্যই অতীব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে উল্লেখিত দেশসমূহের অনেকরই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মতানৈক্য চলাকালীন সময়ে ঘটা এ ঘটনা ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পর্যালোচনার জোরালো দাবী রাখে।
এ রকম ঘটনা যদি ধারাবাহিক ভাবে ঘটতে থাকে তবে তা আর কিছুতেই কাকতালীয় থাকবে না। তখন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি অজুহাতের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করে অনেক বিদেশী ক্রেতার বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে অথবা এর সুযোগ নিয়ে পোশাকের দর কমিয়ে দিতে পারে। নিত্য পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে অনন্যোপায় হয়ে অসহায় পোশাক শ্রমিকরা যখন ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে রাজপথে নেমে এসেছে, এরকম সময়ে এ ঘটনা সর্বনাশা এক যৌগিক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে, যা কারো কাম্য নয়। আমরা আশা করি সরকার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই এ বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি