News update
  • Salahuddin files case against Hasina, six others at ICT     |     
  • Guterres seeks probe into Gaza aid site killings     |     
  • Noakhali trawler capsize: 3 dead, child still missing     |     
  • Tk 2,956 crore allocated for Election Commission in budget     |     
  • Real estate route remains open for legalising black money     |     

রাশেদ খান মেনন ও দিলীপ বড়ুয়াকে ধিক্কার ও নিন্দা

ছাত্র ইউনিয়ন ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন সময়ের ১৮ ছাত্রনেতার বিবৃতি

রাজনীতি 2024-07-31, 3:34pm

rashed_khan_menon_01-20293e3ce2f88f5a14c3912b520d757b1722431900.jpg

Easy d Khan Menon. Wikipedia.



বাংলাদেশে চলমান ছাত্র গণহত্যার সহযোগী মুখোসধারী বামপন্থি রাশেদ খান মেনন ও দিলীপ বড়ুয়াকে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তাদের সাবেক অনুসারী ছাত্র নেতাদের বিবৃতি।

রাশেদ খান মেনন ও দিলীপ বড়ুয়ার রাজনীতির শুরু ও প্রতিষ্ঠা ১৯৬০-এর দশকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। তারা উভয়ে তখন প্রগতিশীল ধারার ছাত্র সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঝান্ডার তলে সমাবত হইয়ে পরে নেতাহইয়েছিলেন। পরবর্তীতে সংগঠনটি দুই ভাগ ভাগ হলে রাশেদ খান মেনন একাংশের নেতা হন। সে সময় সংগঠনটির রাজনীতি ছিল - মহনতী মানুষের সাথে একাত্ম হইয়ে শোষনমুক্ত বৈষমাইহীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা। এই ছাত্র সংগঠনটির অতীত ঐতিহ্য ̈হচ্ছে ১৯৬২ সালের গণবিরোধী শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে তদানীন্তন পাকিস্তানের সকল ছাত্র ও গণআন্দোলনে গৌরওজ্জল ভূমিকা পালন। এই সংগঠনের অনেক নেতা কর্মী পাকিস্তানন আমলে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন, কারাভোগ করেছেন, নজির বিহীন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এভাবেই নেতা কর্মীদের আত্মত্যাগেতর মহিমায় মহিমান্বিত এর রাজনীতি।

Filip Barua

১৯৬৮ সালে তিন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগ যে এগারো দফা ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠে এরও অন্যতম রূপকার এই ছাত্র সংগঠন। ছাত্রদের ঐ এগারো দফা আন্দোলন শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনের সাথে একাকার হইয়ে সৃষ্টি হয় ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান। গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টি হইয়েছিল এই সংগঠনের ত ̈ত্যাগী নেতা আসাদুজ্জামানের শহীদ হওয়ার মধ্য ̈দিয়ে। কিশোর স্কুল ছাত্র মতিউর সহ আরো অনেকের রক্ত ঝরেছে। সেই অভ্যূত্থানে পরে। আর তাতে এশিয়ারলৌহ মানব বলে খ্যাত সৈরাচারী আইয়ুব খানকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়।

এমন সংগ্রামী ঐতিহ্য̈রয়েছে যে ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির, এর বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ধাপে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ সক্রীয় ভূমিকা রেখেছি। সংগঠনটির এক সময়কার নেতা ছিলেন রাশেদ খান মেনন। আজকেরদিলীপ বড়ুয়াও এতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এই দু’জনের জীবনে যেটুকু কৃতীত্ব ও পরিচিতি, তা তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের সুবাদে। তারা তখন সংগ্রামী মানুষের পক্ষে কন্ঠ সোচ্চার করতেন। কিন্তু আমরা সাম্পধতিককালে অবাক হয়ে দেখছি তারা তাদের সেই অতীত রাজনীতি থেকে এক শ আশি ডিগ্রি বিপরীত অবস্থান নিয়ে গণবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের পথ ত্যাগ করে পুঁজিবাদের উচ্ছিষ্ট ভোগে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় মানুষের পক্ষে না দাঁড়িয়ে নিপীড়ক সৈরাচারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন। সাম্প্রতিক কোটা বিরোধী উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের সময়ে তারা সরকারের দোসর হিসেবে বিপক্ষে প্রতিক্রীয়াশীল ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী এই আন্দোলনে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে ২৬৬ জন নিহত হয়েছেন। কোনো আন্দোলন সংগ্রামে এদেশে এত মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি কখনো। কী আশ্চর্য! তারা ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের পাশে না দাঁড়িয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে ফ্যাসিস্ট হত্যাকারীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন। হত্যা ও নিপীড়নের সাফাই গাইছেন।

তাদের এই ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধকালের হানাদার বাহিনীর দোসরদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে আমাদের। এখন তারা সেই একইরকম ভূমিকায় অবতীর্ণহয়েছেন। আমরা তাদের রূপান্তরকে নিদারুন রাজনৈতিক ও চারিত্রিক অধঃপতন হিসেবে দেখছি। এই অবস্থায় তারা যে এক সময় আমাদের আদর্শিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তা মনে করে চরম ঘৃনাবোধ করছি। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। এখনও যারা তাদের দল করেন তাদের প্রতি আমাদের আহবান, অবিলম্বে অসংখ্য ছাত্রের রক্তে হাত রাঙানো খুনি জান্তার পদলেহি এই দোসরদের ত্যাগ করুন। এরা আদর্শহীন, অধঃপতিত গণবিরোধী। দেশবাসীর কাছে এদের চেহারা একযোগে তুলে ধরুন।

সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন সময়ের ছাত্রনেতাগণের পক্ষে -

১. ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ, সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক

২. ইমেরিটাস অধ্যাপক এ টি এম নূরুল আমিন

৩. ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী

৪. সাবেক উপাচার্য, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ

৫. ড. সৈয়দ জহির সাদেক

৬. ড. নাজমা শিখা

৭. মনজুর আহমেদ

৮. দেওয়ান শামসুল আরেফিন

৯. লুৎফর রহমান হেলাল

১০. হামিদ রেজা খান

১১. সৈয়দ সফিক উদ্দিন আহমেদ

১২. আনোয়ারুল কাদের বাকী

১৩. মোজাম্মেল হক

১৪. শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু

১৫. শামসুজ্জামান মিলন

১৬. আলী ইমাম শিকদার

১৭. কামরুল হুদা

১৮. খন্দকার নাজিম উদ্দিন