News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে

পীর সাহেব চরমোনাই

রাজনীতি 2025-03-07, 11:42pm

islami-andolan-bangladesh-amir-and-pir-shaheb-of-charmonai-addressing-an-iftar-mahfil-organised-by-the-party-in-honour-of-eminent-people-on-friday-02bc123a41a58d95a2b9609d7b7def7c1741369350.jpg

Islami Andolan Bangladesh Amir and Pir Shaheb of Charmonai Mufti Syed Rezaul Karim addressing an iftar Mahfil organised by the party in honour of eminent people on Friday.




ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশংকা থেকে যাবে। তাই এসব ক্ষেত্রে সংস্কার হতেই হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের নব্বইটিরও বেশি দেশে অনুসৃত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পিআর (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি দাবী করেছি। আমরা মনে করি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক তা চায় না। বরং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ করতে এবং নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এর রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সন্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০২৪ আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবময় ইতিহাস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাইয়ের শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে স্বনামেই এই আন্দোলনের অংশ ছিলো। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। এখন সময় হলো বাংলাদেশ গড়ার।

আমরা দেশের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন করে সৌহার্দ ও সহযোগীতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব জনপ্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ইসলামে প্রতিবেশিকে সন্মান করা এবং প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেশিকে সন্মান করার এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে তাদের কোন ক্ষতি না করতে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সাথে রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল মাজলুমদের ব্যাপারে আমরা সহমর্মীতা জানাচ্ছি এবং তাদের স্বাধীকারের আন্দোলনের সমর্থন ঘোষণা করছি।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফেসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের বিচার না হলে মানুষের রক্তের দায় জাতীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাড়া করবে। তাই যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কোন নিরাপরাধ যেনো কষ্ট নায় আর কোন অপরাধী যেনো ছাড় না পায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে যেখানে দারিদ্র, বেকারত্ব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে,পরমত সহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সহ-অবস্থান নিশ্চিত হবে। নাগরিকের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারকে প্রধান্য দিয়ে ব্যবসা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র।

আজ ৭ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা, শফিকুর রহমান, বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুল মইন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকাতুল্লাহ ভুলু, সালাহদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, আমার বাংলাদেশ পার্টির মহাসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক আহমেদ।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, চিন, নেদারল্যান্ডসের হেড অফ মিশন আন্দ্রে কার্টসটেনস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটান ও কসোভ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক জনাব মোস্তাফা কামাল, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।  ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমেদ মানসুর, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।