Kalapara BNP leader Nannu Munshi,
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী পৌর শহরের প্রতিটি নাগরিকের কাছে মুঠোফোনে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রত্যেক নাগরিক মুঠোফোনে তাঁর তরফ থেকে 'শুভেচ্ছা বার্তা' পেয়ে খুশী হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে পৌরসভার নাগরিকরা মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সীর তরফ থেকে 'ঈদের শুভেচ্ছা' পাচ্ছেন।
বিএনপি নেতা নাননু মুন্সী বলেন, 'ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কলাপাড়া পৌরসভার অন্তত ৩০ হাজার নাগরিক মুঠোফোনে আমার শুভেচ্ছা বার্তা পাবে।'
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নাননু মুন্সী'র ছবি দিয়ে পোষ্টার তৈরি করে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পোস্টারে তাঁর ছবির ওপরে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর পোষ্টার দেখে শত শত শুভাকাংখীসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা লাইক-কমেন্টস করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী কলাপাড়া পৌর শহরের নয়টি ওয়ার্ডে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে 'কর্মী সমাবেশ' করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন।
দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, 'দলকে সু-সংগঠিত করতে এ কর্মী সভা নাননু মুন্সীর সু-চিন্তিত রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়া নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। এটা দলের জন্য অত্যন্ত সু-খবর।'
পৌর শহরের বাদুরতলী এলাকার বাসিন্দা মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, 'কলাপাড়া পৌর বিএনপির রাজনীতিতে যে কয়জন নেতা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ইমেজের মানুষ হলেন নাননু মুন্সী। যাঁর কোনো বদনাম নেই।'
মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী ১৯৯৮ সালে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৪ সালে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক, ২০১৪ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মো. মোজাম্মেল হক মুন্সী। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ ও ভদ্র মানুষ হিসেবে তিনি সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য।
কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করে মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী বলেন, 'আমি সব সময় মানুষের বিপদে-আপদে পাশে রয়েছি। যখন যেভাবে পেরেছি সহায়তা করেছি। আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করতে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাই। আল্লাহতায়ালা আমাকে সফল করলে কলাপাড়া পৌরসভাকে একটা সু-শৃংখল, প্রযুক্তি নির্ভর, স্মার্ট পৌরসভায় পরিনত করার ইচ্ছা রয়েছে।' - গোফরান পলাশ