News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করলে কাল থেকে আন্দোলন আরও বেগবান হবে: ইশরাক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-05-29, 5:35pm

71c866b636f44d809abe01e2785c9951489686dc1c7fe9cc-29b3b517b3277441dd68d77abc95997f1748518550.jpg




বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, শেষবারের মতো সরকারকে বলছি-আপনারা শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করুন না হলে আগামীকাল থেকে নগরবাসিকে সাথে নিয়ে এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন। মূলত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতেই তিনি নগরভবনে আসার পর এ কথা বলেন তিনি।

ইশরাকের প্রবেশের পর আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। ইশরাকের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো নগরভবন প্রাঙ্গণ।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন,শেষবারের মতো সরকারকে বলছি-আপনারা শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করুন না হলে আগামীকাল থেকে নগরবাসিকে সাথে নিয়ে এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে এসে জমায়েত হতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ইশরাকের সমর্থকরা। সেই সঙ্গে এখানকার কর্মচারীরাও সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনে এসে জড়ো হন। একই দাবিতে সকাল থেকে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নগর ভবনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। টানা ১৫ দিন ধরেই নগর ভবনের প্রত্যেকটা ফটকেই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর এ রিট মামলার ওপর গত মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ। ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।

এদিকে, আজ আবার খারিজ হওয়া রিটের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। ইশরাক হোসেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, শপথ বিষয়ে এখন সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন আদালত। সময়।