Leaders of the Bangladesh Muslim League at a discussion meeting on the 52nd death anniversary of its former leadwr Fazlul Quader Chowdhury. 17 July 2025
গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ও পলায়নের পর দেশে, বিদেশী আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে অভাবনীয় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল; নির্বাচনের সময়কাল, পিআর, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার সহ কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় রাজনৈতিক দলের মতানৈক্যতা সেই ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে। যে ফাটল গলে আগ্রাসী ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায়, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসররা গত ১৬ই জুলাই, একটি রাজনৈতিক দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীতে বর্বরোচিত বাকশালী কায়দায় হামলা চালিয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও ভারতের আধিপত্যবাদী মানসিকতার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় এটা প্রমাণিত যে, আমাদের জন্য বাকশাল অথবা আওয়ামী লীগের চাইতেও বড় সমস্যা ব্রাক্ষণ্যবাদী ভারত। মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরীরাই মুসলিম লীগকে শতাধিক বছর ধরে লাগাতার ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়ে গেছেন। মুসলিম লীগের নেতৃত্ব ধ্বংসের ভারতীয় পরিকল্পনায় তাকে ১৯৭৩ খৃষ্টাব্দের ১৮ জুলাই কারাবন্দী অবস্থায় বিষ প্রয়োগ করে শহীদ করা হয়েছিল। শুধু তাই নায়, ভারতের বিরুদ্ধে অটল অবস্থানের জন্য তার সুযোগ্য সন্তান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে পরবর্তীতে শহীদ করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক এই দুই মহানায়কের নামে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণের মাধ্যমে তাদের অবদান ও দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পীকার, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি, মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (১৭ই জুলাই, ২০২৫) বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুল সালাম হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সভাপতি এড. মহসীন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মুসলিম লীগ আয়োজিত এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, এফডিএ চেয়ারম্যান ড. এ আর খান, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আকবর হোসেন পাঠান, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, শেখ এ সবুর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, মাকসুদুর রহমান, ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান মাসুদ, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ রানা, মো. আলী জিন্নাহ,মামুনুর রশীদ, ক্যাপ্টেন আনিস, মোজাক্কের বারী, শফিকুল ইসলাম জাবেদ, মুঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো ভেদাভেদ ভুলে যদি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয় তা ফ্যাসিবাদীদের পুন-প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন ও বিদেশী আগ্রাসী শক্তিকে মোকাবেলা সম্ভব নয়। কাজেই নির্বাচন পদ্ধতি ও সংস্কার নিয়ে একটি যৌক্তিক পয়েন্টে দ্রুততম সময়ে একমত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করে দেশকে গণতন্ত্রের মহাসড়কে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গনঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি