News update
  • UN report finds brutal, systematic repression of July protests     |     
  • At AI Summit, diplomats mull destiny of tech revolution     |     
  • Reaching for stars: We know answers to support women in STEM     |     
  • Trump talks Gaza takeover plan to Jordan's King Abdullah     |     
  • Dhaka’s air world's 6th worst Wednesday morning     |     

সারাদেশেই মহামারি আকারে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2023-07-16, 10:35pm

468864_172-4bcc2e61177f0694d0374638089a09231689525434.jpg




সারাদেশেই মহামারি আকারে ছড়াচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। সবশেষ দুদিন এ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্ত সতেরো হাজারের বেশি। যা দেশে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

ডেঙ্গুর লার্ভার জন্ম ও মশার কামড়ানোর ধরনে পরিবর্তন এসেছে। তাই, জ্বর দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই। চট্টগ্রাম, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দিন যত যাচ্ছে বড়দের মতো শিশুদেরও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় আমার দশ মাস বয়সী মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তার বলেছেন আইসিইউতে ভর্তি করাতে। তবে বেড খালি নাই। বাচ্চাটা অসহায়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এখানকার ডাক্তার ভালো চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু এতে কাজ হচ্ছে না।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে শিশুদের বেশির ভাগই শক সিনড্রোমে থাকা। প্রাথমিকভাবে জ্বর দেখা দিলেও অনেকেই ডাক্তার দেখাচ্ছেন না। অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা রোগীদের বেশির ভাগের অবস্থাই ভালো নয়। যাদেরকে নিয়ে আসা হচ্ছে তাদের ব্লাড পেশার কম। শিশুদের বাবা-মায়েরা শুধু দুর্বলতা দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন।

ঢাকার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের ইনচার্জ ও সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো এখন আর আগের মতো নেই। আগে যেমন ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তীব্র জ্বর উঠে যেত এবং তিন দিন পর্যন্ত জ্বর থাকত। এখন দেখা যাচ্ছে একদিন জ্বর, হালকা মাথাব্যথা অথবা ডায়রিয়া দিয়ে শুরু হচ্ছে। যাদের আগে একবার ডেঙ্গু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে দেখা যাচ্ছে একদিন জ্বর। তার পরদিনই পেশেন্ট খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মশার কয়েল, স্প্রে, মশারি ব্যবহার করতে হবে। ফুল হাতা জামা পরতে হবে। যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে তা প্রতিদিন ফেলে দিতে হবে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শিশু ও বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা মানুষদের প্রতি বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।