News update
  • International Day of Persons with Disabilities celebrated at Barura     |     
  • Bangladesh achieves 97% typhoid vaccine coverage for children     |     
  • Jeddah welcomes global stars to Red Sea Int’l Film Festival     |     
  • Exports earn $3.9 billion in Nov, up 1.8% from Oct     |     
  • Air ambulance delay delays Khaleda Zia’s departure for London     |     

দেশে এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে জনমনে উদ্বেগ, কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-01-13, 3:57pm

ewrwtewt-712d219c86f9ad063a5f1e40d848c7f51736762226.jpg




দেশে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্তের পর উদ্বেগ বাড়ছে জনমনে। তবে এখনো বেশিরভাগ মানুষই জানেন না, কী এই ভাইরাস আর কী ধরনের স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার-হাত ধোয়াসহ সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি।

করোনার পর সম্প্রতি নতুন করে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি জাপান, মালয়েশিয়া ও ভারতে পর শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। আক্রান্ত নারী জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন অনেকটাই ভালো আছেন তিনি। স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) থেকে বেডে স্থানান্তর করা হতে পারে।

ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও এখনো সচেতন নয় সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অনেকে জানেন না কী এই ভাইরাস? এর প্রভাবই বা কী?

এ অবস্থায় সচেতনতার অভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা বলছেন, এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শ্বাসতন্ত্রবাহিত যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কারও জ্বর হলে গুরুত্ব দিতে হবে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাসকষ্ট এইচএমপিভির সাধারণ লক্ষণ। তবে সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার, ঘন ঘন সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়াসহ সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৭ নির্দেশনা

১. মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুঁড়িতে ফেলুন।

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

৫. ঘনঘন সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।