বাংলাদেশিদের জন্য খুললো চিকিৎসার নতুন দুয়ার। প্রথমবার চীনে গেলেন ১৪ রোগী।
উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে চীনের পথে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১২টায় চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল।
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সহায়তা করতেই চীনের ইউনানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে চীনা দূতাবাস। সকালে বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা চিকিৎসার সুব্যবস্থা পাবে বলে জানান তিনি।
এতদিন পাশের দেশ ভারতে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলেও; পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন জটিল, রয়েছে দুই দেশের স্বার্থগত ভিন্নতাও। তাই, এই অবস্থায় বিকল্প দেশ হিসেবে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশীদের নতুন গন্তব্য চীন। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করাসহ বাংলাদেশী রোগীদের সব ধরনের সেবা দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে দেশটি।
সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে চীনের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১৪ জন রোগী।
সোমবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওনা করেন তারা। এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়েন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম ব্যাচে ৩১ সদস্য রয়েছেন। যেখানে ১৪ জন রোগী, ৬ জন পরিবারের সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন এইচইউসি প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক রয়েছে।
সোমবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি বহির্গমন টার্মিনালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চারটি হাসপাতাল ডেডিকেট করেছে চীন। সব হাসপাতালে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হায়দার আলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতরা। চীনে উন্নত চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থ হয়ে ফেরার প্রত্যাশা তাদের।
এ সময়, বিমান ভাড়া কমানোসহ ভিসা প্রক্রিয়া ও যাত্রা সহজে কাজ করবে চীন, এমন প্রত্যাশার কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন।