তীব্র গরমে পুড়ছে সারা দেশ। গরমের তীব্রতায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে শিশুরা। জ্বর, ঠান্ডা, এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিশূন্যতায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে এ ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তীব্র গরমে নাজেহাল আড়াই বছরের কাইফ। একদিকে জ্বর-কাশি, অন্যদিকে খোসপাঁচড়া জনিত রোগ স্ক্যাভিস নিয়ে ভুগছে এক সপ্তাহ ধরে। তার মা বলছেন, চুলকানিসহ গরমে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
কাইফের মতো আরও অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছে রাজধানীর শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে। কেউ ভুগছে ডায়রিয়ায়, কেউ বা নিউমোনিয়ায়।
গরমের তীব্রতায় শিশুদের বাড়তি যত্নের তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান অমি বলেন, গরম বেশি হওয়ার কারণে জ্বল-কাশিতে আক্রান্ত রোগী আগের চেয়ে বেশি আসছে। এ পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চারা সাধারণত কম খায়। তাই কিছুক্ষণ পর পর পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করতে হবে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে তাপমাত্রার চেয়েও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে, যা কেটে যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই। আগামী সোমবার (১৬ জুন) থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছে আবহাওয়া অফিস, যা অব্যাহত থাকবে ২২ জুন পর্যন্ত।