
দেশে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। মরণব্যাধি এ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না তা নিজেই বুঝে নিতে পারেন পরিচিত কিছু লক্ষণে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর), বিশ্ব এইডস দিবস। মরণব্যাধি এইডসকে রুখতে ও বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় দিবসটি।
‘এইডস’ এর পূর্ণরূপ হলো একিউয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম। মরণব্যাধি রোগটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। ভাইরাসের চূড়ান্ত পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে শরীর বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।
উপসর্গ
এই রোগের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ রয়েছে। জ্বর, পেশীতে ব্যথা, কণ্ঠস্বর ভাঙা, রাতে ঘাম হওয়া, মুখের আলসার, র্যাশ, শীত অনুভূত হওয়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তিবোধ, ঘাড় ও গলা ফোলার মতো উপসর্গই এইডসের লক্ষণ।
সংক্রমণ যেভাবে ছড়ায়
চিকিৎসকরা বলছেন, রক্ত, বীর্য, প্রি-সেমিনাল ফ্লুইড, যোনি, মলদ্বার ফ্লুইড এবং সংক্রমিত নারীর বুকের দুধের মাধ্যমে এইডস ছড়ায়। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনমিলনেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে ইঞ্জেকশনের সুচ, রেজার ব্লেড, ছুরি শেয়ার করলেও এই রোগ সংক্রমিত হয়।
প্রতিরোধ
সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকুন। যারা ফ্লু বা ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন, তাদের এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।