News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2025-04-26, 7:37am

fda91862b53b4e16f9bf4c2d538d77251c9541f8885ea5d3-84c51235b0b5f411263bfd00a811efe61745631472.jpg




টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’। মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। মেলায় এসে খুশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের ১১ তারিখ মেলা শুরু হয়ে ১৩ তারিক পর্যন্ত চলে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত ৩০ গ্রামের জামাইরা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। তারাই মেলার মূল আকর্ষণ। আর মেলায় জমায়েত হন ৩০ গ্রামের জামাইরা। এ মেলার বয়স প্রায় দেড়শ বছরেরও বেশি। এ এলাকার মানুষের কাছে ঈদ বা পূজাপার্বণের মতোই এই মেলার উৎসবের। মেলাটি বৈশাখী মেলা হিসেবে ব্রিটিশ আমলে শুরু হলেও এখন এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত।

মেলা উপলক্ষে রসুলপুর ও এর আশপাশের বিবাহিত মেয়েরা তাদের স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। আর জামাইকে মেলা উপলক্ষে বরণ করে নেওয়ার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িরা বেশ আগে থেকেই নেন নানা প্রস্তুতি।

মেলার দিন শাশুড়ি মেয়ের জামাইয়ের হাতে কিছু টাকা তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে জামাই বাজার করে এনে শ্বশুরবাড়ির লোকদের খাওয়ান। এ কারণেই মেলাটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। তিন দিনে রসুলপুরসহ আশপাশের গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়।

মেলায় বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের দোকানসহ নারীদের প্রসাধনী খাট-পালং সবই পাওয়া যায়। মেলাটি সবার কাছে খুবই আকর্ষণীয়। মেলায় এসে খুশি মেলায় আগতরা।

স্থানীয় রসুলপুর গ্রামের আরিফ মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখনও দাদার কাছে এই মেলার কথা শুনেছি। এটি টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও বড় মেলা।

কালিহাতী থেকে আসা এক জামাই বলেন, প্রতিবছরই আমরা শ্বশুরবাড়ি থেকে মেলায় আসার দাওয়াত পাই। এই মেলা আমাদের জামাইদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক আত্মীয়র সঙ্গে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয়। সব মিলিয়ে আমরা মেলার এই তিন দিন আনন্দে মেতে উঠি।

বেড়াতে আসা চাকরিজীবী শিরীন আক্তার বলেন, এই মেলাটি একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মেলা শুনে প্রথমবারের মত ঘুরতে এসেছি। তবে মেলায় কিছুটা অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করি, মেলা কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলিকে নজরে আনবেন। বিশেষ করে, যদি সম্ভব হয় মেলাটি আরো বড় জায়গায় আয়োজন করলে অনেক সুন্দরভাবে দর্শনার্থীরা এই মেলাটি উপভোগ করতে পারবে।

মেলায় ঘুরতে আসা রত্না বেগম বলেন, এটি টাঙ্গাইল জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। শুক্রবার দুপুর থেকেই নারী পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ ছুটে এসেছে । আমিও এসেছি ঘুরে দেখছি খুবই ভালো লাগছে।

মেলায় আসা ব্যবসায়ী গফুর বলেন, বাড়তি লাভের আশায় কয়েক বছর যাবত এই মেলায় আঁকড়ি বিক্রি করে আসছি। অন্যান্য মেলার চেয়ে এ মেলা অনেক নিরাপদ। বেচাবিক্রিও ভালো।

টাঙ্গাইল সদর ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছাইদ জানান, মেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।

মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে মেলা শুরু হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় ভলানটিয়ারসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। সময়।