News update
  • Attacks on world order, global aid hits progress on poverty     |     
  • Bangladesh, US Begin 3-Day Talks on Tariff and Trade     |     
  • A second Nakba?: UNRWA Commissioner-General on Gaza:     |     
  • Flood force postponement of Cumilla Board HSC exams Thursday     |     
  • Ensure law and order by Dec for peaceful election: CA     |     

ভাস্কর্যটি ভাঙা নয়, ফিরবে মূল নকশায়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2025-06-19, 12:25pm

f1aa488a593124a47bdb370e807ad0dd6f72be2311e5a1d4-a26fbafb67dd40444a384c143453db421750314337.jpg




ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় ‘অঞ্জলি লহ মোর’ নামে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখর। প্রকল্পের মূল নকশায় না থাকলেও সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। সেই ভাস্কর্যটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্যটি ভাঙা নয়, পূর্বের নকশায় ফিরছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের পাশের পুকুরে নির্মিত এ ভাস্কর্যটি মূল নকশায় নিতে কিছু অংশ ভাঙা হয়। পরে ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। এরপরই ভাস্কর্যটি ভাঙার পক্ষে-বিপক্ষে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্যোগে শতাধিক গাছ কেটে প্রায় ৪ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনের পুকুরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নির্মাণ করা হয় ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য। এটি নির্মাণ করেছিলেন ভাস্কর মনিন্দ্র পাল।

অভিযোগ রয়েছে, স্থাপনার নকশার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল ছিল না। সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের নির্দেশে শেষ সময়ে নকশা পরিবর্তন করে দুই হাতের একটি স্থাপনা যুক্ত করা হয়। সে সময় স্থাপনাকে কেউ কেউ ‘সাম্প্রদায়িক স্থাপনা’ হিসেবে আখ্যা দেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলার দাবি তোলেন অনেকেই। সে কারণে স্থাপনাটিকে ভেঙ্গে পূর্বের নকশায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ভাস্কর্যটি আমাদের মূল নকশায় ছিল না। প্রাক্তন উপাচার্যের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই এটি করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এটি ভাঙার জন্য ছাত্রদের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। পরে নতুন প্রশাসনের নির্দেশেই ভাস্কর্য ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে ভাস্কর্যটি ভাঙার খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রনি বলেন, যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য কিছু বিষয় আগে থেকেই ভাবতে হয়। প্রথমত, এ উন্নয়ন পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে কি না, পরিবেশের জন্য উপকারী কি না, অথবা আদৌ সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না। কিন্তু আমার মনে হয়, ‘অঞ্জলি লহ মোর’ এর ক্ষেত্রে এসব কোনো দিকই বিবেচনা করা হয়নি।

অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, কেউ কি তাদের থামাতে পারবেন? ভেঙে ফেলা হচ্ছে “অঞ্জলি লহ মোর” নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ম্যুরাল, যেটি আমার হাতের ছবি থেকে করা হয়েছিল। এটি ভাস্কর্যবিদ মনিন্দ্র পাল করেছিলেন। খুবই দুঃখজনক যে এই মুহূর্তে সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাঙা নয়, বরং মূল নকশায় ফিরছে ‘অঞ্জলি লহ মোর’। গত ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের যে কয়েকটি দাবি ছিল, সেগুলোর মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দাবিও ছিল। কিন্তু আমরা অন্যান্য দাবিগুলো পূরণে উদ্যোগ নিলেও সে সময় ভাস্কর্যটি নিয়ে তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আমরা এখন এটি সংস্কারের কাজ হাত দিয়েছি। ভাস্কর্যটির মূল যে ডিজাইন ছিল, সেই ডিজাইনে এখন ফিরবে।