News update
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     
  • Dhaka's RMG exports reach $38.48 bn in 2024: New markets up     |     
  • Bangladesh’s GDP Growth to Decline to 4.1% in FY25: WB     |     

অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ১৩ শতাংশ

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংগঠন সংবাদ 2023-12-02, 9:46pm

resize-350x230x0x0-image-250250-1701526852-ec195eb2ee6f2493265c7581d07917ad1701532012.jpg




অনলাইন মাধ্যমগুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নারী অনলাইন সহিংসতার শিকার হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর এই সহিংসতা ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা : বাস্তবতা ও করণীয়’ বিষয়ে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে এই তথ্য উঠে আসে।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২২ সালে ৫১৪ জন অনলাইন ব্যবহারকারীর ওপর পরিচালিত অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৩ দশমিক ৫১ শতাংশ নারী অনলাইন সহিংসতার শিকার হন, যা ২০২১ সালে ছিল ৫০ দশমিক ১৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে বেড়েছে ১৩ শতাংশ। সাইবার অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে বলা হয় অ্যাক্টের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় নারীর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে শাস্তির কথা বলা থাকলেও, তার বিচার কি সাইবার ট্রাইব্যুনালে হবে নাকি ক্রিমিনাল কোর্টে হবে, তার নির্দেশনা নেই। এ কারণে নারীরা এসব অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাননি।

অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, এ অবস্থায়, সুরাহার পথ দুটি। প্রথমটি আইনি ব্যবস্থায় জোরদার করা। দ্বিতীয়টি সমাজ মনস্তত্ত্বের পরিবর্তন সাধন। পরিবর্তন আনতে হবে সাইবার পরিসর ব্যবহারকারীর আচরণে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার।

তিনি বলেন, সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের অনেক ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। সাইবার দুনিয়া একটি মুক্ত জায়গা, যেখানে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হবে। এ কারণে তরুণদের মাঝে ডিজিটাল লিটারেসি বাড়ানোর কোনও বিকল্প নেই। অভিভাবকদের বাচ্চাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার মনিটরিং করতে হবে, তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। আরও বক্তব্য দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল ঢাকার বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ এম জুলফিকার হায়াত, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগম প্রমুখ। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।