নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ মার্চ থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ মহাসমাবেশ করা হয়।
১১-২০তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে চরম বৈষম্য। শতাংশের হারে বেতন বাড়ালে কারও বাড়ে ৩ হাজার টাকা, কারও বাড়ে ৩০ হাজার টাকা। তার মানে তেলে মাথায় আরও তেল ঢালা হয়। আর যার মাথায় তেল নেই, তার আরও শুকিয়ে যায়। এ সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে চেয়ারে বসেছে। কিন্তু তারা কোনো বৈষম্য নিয়ে নিজেরা কথা বলে না। কোনো বক্তব্য-বিবৃতিও দেয় না। আপনারা যারা বৈষম্য নিয়ে রাস্তায় আসেন, তাদের কারওটা শোনে, কারও কথা আবার সরকার শোনে না।
সমাবেশে সরকারি কর্মচারীরা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলস মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। তারা যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অবিলম্বে ৭ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো:
আগামী ১৬-২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে সরকারি অফিসসমূহে দাবি সংবলিত ব্যানার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে দাবির স্বপক্ষে জনমত গঠন।
২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি সব অফিস প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার ও সচিবালয়ে কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এসব কর্মসূচির পরও দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ মার্চ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। আরটিভি