ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলতি (জুলাই) মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মাসিক বৈঠকে এ কথা বলা হয়।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বাংলাদেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দেশের প্রচলিত আইনে নিশ্চিত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হচ্ছে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সদিচ্ছা।
‘কিন্তু উক্ত কাজে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সঠিক হয়নি। এখানে মানবাধিকার সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সমকামিতা ও অবাধ যৌনাচার, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দানসহ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোনো অপতৎপরতা দেশপ্রেমিক জনতা কখনও মেনে নিব না।’
নেতারা আরও জানায়, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে একজন সমকামী ব্যক্তিকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে, যা বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক হুমকি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন থাকতে হবে। মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনস্থাপন করতে হবে। নতুন করে যাতে কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসন আসন গেড়ে বসতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে নির্বাচনে অর্থ ও পেশী শক্তির দাপট বন্ধে স্থায়ী বন্দোবস্ত থাকতে হবে।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।