ভারতের মণিপুরে শান্তি ফেরার পথে ফের বাধা। মণিপুরে পর পর দুদিন পুলিশের দুই কমান্ড গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
পুলিশ জানিয়েছে, কমান্ড নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর জেলায়। তবে ঘটনাস্থল অশান্ত চূড়াইচাঁদপুর জেলার সীমানা এলাকা। পুলিশ সেখানে এরিয়া ডমিনেশন অর্থাৎ এলাকা কব্জা করার অভিযানে নামলে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। একজন কমান্ড গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা বৃহস্পতিবার, ১১ মে-র।
বুধবারের ঘটনাটি রাজধানী ইম্ফল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের দোলাইথাবি এলাকায়। সেখানে অসম রাইফেলসের টহলদার জওয়ানদের উদ্দেশে গুলি চালায় জঙ্গিরা। একজন গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে, মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও ধরনের আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিস্মিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং শান্তি ফেরানোর কথা বললেও প্রশাসনিক মহল মনে করছে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে রাজনৈতিক স্তরে তৎপরতা শুরু করা জরুরি ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এখনও পর্যন্ত মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের সুস্পষ্ট অবস্থান জানাননি।
বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে মণিপুরের শিক্ষামন্ত্রী টি বসন্ত জানান, বিষ্ণুপুরে ১৮০টি মালবাহী ট্রাক স্থানীয় জনতা আটকে দেয়। তাতে ইন্ডিয়ান অয়েলের ২৫টি ট্যাংকার ছিল। বাকিগুলিতে ছিল খাদ্যসামগ্রী। পুলিশ জনতাকে সরিয়ে গাড়ির রাস্তা করে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। স্থানীয় মানুষ পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মত রাজ্যে অশান্তির সুযোগ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ মেয়াদে অশান্তি জিইয়ে রেখে দর কষাকষির রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তারা। সেই কারণে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ আটকে দিতে চাইছে।
মণিপুরে এই দফায় অশান্তির সূত্রপাত গত ৩ মে। সেদিন থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। প্রায় ২৩ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া। আহত অসংখ্য। মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।