রুশ আগ্রাসনের পর মঙ্গলবার এই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সশরীরে উপস্থিতি হয়ে ভাষণ দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি।
জেলেন্সকি তাঁর ভাষণে বলেন, "এটা স্পষ্ট যে রাশিয়া তার দখলকৃত অঞ্চলগুলির সবটা না হলেও কিছু কিছু অঞ্চলের স্বীকৃতি লাভের জন্য বৈশ্বিক খাদ্য ঘাটতিকে কাজে লাগানোর জন্য একটা ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।"
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, “যদি আমরা একজন আগ্রাসীকে সন্তুষ্ট করার জন্য জাতিসংঘের সনদের মূল নীতিগুলি পরিত্যাগ করি, তাহলে কোন সদস্য রাষ্ট্র কি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে যে তারা সুরক্ষিত আছে? আমরা যদি ইউক্রেনকে খণ্ড বিখণ্ড করতে দেই, তাহলে কি কোনো জাতির স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে “
এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্ব সংস্থাটির সামনে ইউক্রেনের পক্ষে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে গ্লোবাল সাউথের উদ্বেগের মধ্যে যে ইউক্রেন অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মূল্যে সভায় আধিপত্য বিস্তার করে, বাইডেন তাঁর বক্তৃতার ২২ মিনিট পর্যন্ত রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়টি উল্লেখ করেননি।যদিও বেশিরভাগ দেশ গত বছর রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবে সমর্থন করেছিল।
অনেকেই বিশ্বব্যাপী জ্বালানী শক্তি এবং খাদ্যের দামের উপর যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। গ্লোবাল সাউথ থেকে এখন মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে দ্রুত শান্তি আলোচনার আহ্বান বাড়ছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।