News update
  • Israel kills 59 Palestinians in Gaza, many while trying to get aid     |     
  • COVID sub variant wave hits Bangladesh; vigilance urged      |     
  • Design woes stall Barguna’s Sonakata Canal Bridge Project      |     
  • Iran retaliates after Israeli strikes on its nukes, military     |     
  • Enact July Declaration, inspire nation make a bold restart     |     

গাজা যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-14, 8:14pm

tretrtret-e38b191541e353dddf2837a475ca7dca1744640095.jpg




গাজায় স্থায়ী তথা ‘সিরিয়াস বা গুরুতর’ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে শিগগির ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এমনটাই জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা। তার মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন হামাস কায়রোতে মিশর ও কাতারীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছে। এই দুটি দেশ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, হামাস ‘গুরুতর জিম্মি বিনিময়’ ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।

তবে, তিনি ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নুনু বলেছেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়, বরং দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

হামাসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, তাই হামাস দখলদার ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ‘ইয়নেট’ জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তির অধীনে, ইসরায়েল দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় অংশ নেবে বলে মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে দলটি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এবং একাধিক জিম্মি-বন্দি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত ছিল, দুই মাস স্থায়ী হয়েছিল এবং পরে ভেঙে পড়ে। হামাস মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মির সংখ্যা নিয়ে বিরোধের কারণে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা স্থগিত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, নুনু বলেছেন, হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে না কারণ, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছে।

নুনু বলেছেন, প্রতিরোধের অস্ত্রগুলো আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি সরকারী পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি’র এক হিসাব অনুসারে, এই হামলায় ১২১৮ জন নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া হামাস যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মি করে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দি। এর মধ্যে ৩৪ জন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ৫৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ১৫৬ জন আহত হয়েছে। তবে সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ এরও বেশি বলেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।আরটিভি