News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

তুরস্কের শত্রুকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-20, 10:03pm

dfdsfewr-0c50b48023c0f763d4f077a44d59dac91745165020.jpg




তুরস্কের শত্রু বলে খ্যাত আর্মেনিয়াকে ‘প্রলয়’ নামে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। চলতি বছরের এপ্রিলেই প্রলয় বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত রূপ নেবে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

দেশীয় পদ্ধতিতে এসব ‘প্রলয়’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে থাকে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিওর (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)। আর্মেনিয়াই এর প্রথম ক্রেতা হতে চলেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত এ মারণাস্ত্র অন্য কোনো দেশের কাছে বিক্রি করেনি ভারত।  

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫০০ কিলোমিটার গতির এই ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে অন্যতম হলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) ও হাতিয়ারের গুদাম। যুদ্ধের সময়ে এর ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে রয়েছে প্রলয়। ৩৫০ থেকে ৭০০ এবং ৫০০ থেকে হাজার কেজির উচ্চশক্তির বিস্ফোরক ব্যবহার করে প্রলয়। 

ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার (মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রিজিম বা এসটিসিআর) সদস্যপদ রয়েছে ভারতের। আর তাই ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার ‘প্রলয়’ আর্মেনিয়াকে সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, নাগরনো-কারাবাখের দখলকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাসে নতুন করে প্রতিবেশী আজারবাইজানের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে আর্মেনিয়ার। বিতর্কিত এই এলাকার একটা বড় অংশই ২০২০ সালে দখল করে নেয় বাকু। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের দাবি, আর্মেনিয়ার কাছে এত দিন আজারবাইজানে হামলা চালানোর মতো কোনো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না। ‘প্রলয়’ হাতে চলে এলে সেই ক্ষমতা পাবে মধ্য এশিয়ার এই দেশটি। 

উল্লেখ্য, ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চলাকালে তুর্কি সেনাবাহিনী ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই থেকে তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার অঘোষিত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে প্রায়ই দুই দেশকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা যায়।