News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইসরায়েল, প্রাণহানি ছাড়াল ৫২ হাজার ৫০০

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-04, 12:12pm

ertetewrw-6823d59cb16b877ad2e851464cb21fa01746339167.jpg




ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য।

এরই মধ্যে গাজায় সামরিক অভিযানের মাত্রা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ক্যাবিনেটে। পরিকল্পনাটি এখন ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ ক্যাবিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, যা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

এদিকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এতে করে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫২ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে প্রাণহানির সংখ্যা। 

রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।

আরেক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৪৮ ঘন্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, সঙ্গে আহত হয়েছেন তিনশোর বেশি মানুষ। এর ফলে, বিগত প্রায় ১৭ মাসে দখলদার বাহিনীর হামলা-অভিযানে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪শ'রও বেশি মানুষ আহত হয়েছে উপত্যকাটিতে। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ গাজায় ভয়াবহ এক অভিযানে নামে ইসরায়েলি বাহিনী। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬ হাজার ৩২৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করার চেষ্টা করে যাচ্ছে মিশর এবং কাতার। তবে, ইসরায়েল ও হামাস কেউই নিজেদের মূল দাবি থেকে সরে আসেনি। কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।

ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনও ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে এবং হামাসকে নিরস্ত্র করে ভবিষ্যতে গাজার শাসন থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া না হলে কোনও চুক্তি সম্ভব নয়। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হলে আর কোনও বন্দি বিনিময় চুক্তি হবে না।

চুক্তির বিষয়ে হামাসকে দোষারোপ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মিশরের প্রস্তাবিত চুক্তি তারা প্রত্যাখ্যান করেনি। হামাসই বরং চুক্তি সম্পাদনের পথে বাধা তৈরি করছে।

এ অবস্থায় গাজায় সামরিক অভিযানের মাত্রা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইনেত জানিয়েছে, হামাস যতদিন জিম্মিদের ছেড়ে না দিচ্ছে, ইসরায়েল ততদিন গাজায় সামরিক অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে থাকবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে গাজায় আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো হামাসকে পরাজিত করা।