News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম কোথায় সরাল ইরান?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-06-25, 5:23am

fb98266400184a8302a81819da20cf2e247530100d258b33-8adfcb9f49e055ea4cb653aadca351241750807411.jpg




ইরানের কাছে এখনো সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে - যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং ‘খেলা এখনও শেষ হয়নি’। মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে এসব কথা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।

স্যাটেলাইট ছবি এবং বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার আগেই সেখান থেকে ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ৪০০ কেজি। এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট।

তবে এই ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয়া হয়ে থাকলে, তা কোথায় রাখা হয়েছে সেটি অজানা। 

বলা হচ্ছে, ‘নিখোঁজ’ ওই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ। ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হলে এটি পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

স্যাটেলাইট ছবি এবং সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, মার্কিন বি-২ ‘স্পিরিট’ বোমারু বিমান ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ নিক্ষেপ করার কয়েকদিন আগেই সম্ভবত ইউরেনিয়াম এবং তা সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখার জন্য কিছু সরঞ্জাম ‘গোপন স্থানে’ স্থানান্তর করেছে ইরান।

মার্কিন হামলার পরপরই ইরানি ইউরেনিয়ামের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ঊর্ধ্বতন অন্য কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করেছিলেন যে তারা এই মুহূর্তে এটি কোথায় তা জানেন না।

প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলি এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বাস, গাড়ির বুটে রাখার মতো ছোট বিশেষ বাক্সে ভরে এসব সরঞ্জাম ট্রাকে করে অন্য একটি ভূগর্ভস্থ স্থানে, সম্ভবত ইসফাহানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

‘সম্ভবত এটিই ঘটেছে’ বলে স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইসরাইলি কর্মকর্তাও। 

তবে ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি মনে করেন ইউরেনিয়াম কখনো ফোরদো থেকে সরানোই হয়নি এবং বোমা হামলার পর তা এখন হাজার হাজার ফুট ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। 

এর আগে, ইসরাইলের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর (মার্কিন হামলার আগে), ইরান পরমাণু বিস্তার সংক্রান্ত চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছিল এবং জোর দিয়ে বলেছিল যে, তারা এমন একটি পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে বাধ্য না যা কেবল বেসামরিক ব্যবহারের জন্য।

যদিও মার্কিন হামলার পর পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেয়ার কথা জানিয়েছে তেহরান।

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং হামলার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পর্যালোচনা করছি।’ সূত্র: এনডিটিভি