ইউক্রেনে কিছু অস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের নিজস্ব মজুদ অনেক কমে গেছে। যা রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণ প্রতিরোধ করার চেষ্টায় ইউক্রেনের জন্য বড় ধাক্কা।
বুধবার (২ জুলাই) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্রশস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা মার্কিন মজুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর চালান স্থগিতের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অন্যান্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা এবং সহায়তা পর্যালোচনার পর মার্কিন স্বার্থকে প্রথমে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নয়ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি নিয়ে প্রশ্নের কোনো সুযোগ নেই। কেবল ইরানকে জিজ্ঞাসা করুন।’
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ‘পেন্টাগনের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পূর্বে প্রতিশ্রুতি দেয়া কিছু অস্ত্রের মজুদ খুব কমে গেছে। তাই কিছু জিনিসপত্রের চালান পাঠানো হবে না।
তবে প্রতিরক্ষা বিভাগ কোন ধরনের অস্ত্রের চালান দেয়া হচ্ছে না তা নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য এক ধাক্কা। কারণ রাশিয়া সম্প্রতি যুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা শুরু করেছে। যার ফলে ট্রাম্পের নেতৃত্বে শান্তি প্রচেষ্টায় সাফল্যের কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেন শান্তি আলোচনা স্থগিত রয়েছে।