News update
  • Five Shariah Banks to Merge Into State-run Sammilito Islami Bank     |     
  • Dhaka’s air ‘unhealthy for sensitive groups’ Wednesday morning     |     
  • US proposes that the UN authorize a Gaza stabilization force for 2 years     |     
  • Democrat Zohran Mamdani is elected New York City mayor     |     
  • Martyr Mugdha's brother Snigdha steps into politics with BNP     |     

মেরিলিন মনরো: সেরা আবেদনময়ী অভিনেত্রীর করুণ পরিণতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2024-05-31, 4:59pm

fgrereye-7efba70fb66c02ec26b2b9927acf9a2b1717153387.jpg




ছিল না বাবার পরিচয়। মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের গর্ভে জন্ম নেয় একটি মেয়ে। একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে অভিভাবকহীনতায় ঠাঁই হয় এতিমখানায়। এরপর বাকিটা ইতিহাস। বলছি, সর্বকালের সেরা লাস্যময়ী তারকা মেরিলিন মনরোর কথা।

জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো- এ প্রবাদকে সত্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মনরো। জীবনের নানা উত্থান-পতন কাটিয়ে ভাগ্যের সুপ্রসন্নতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা হিসেবে।

দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মালেও সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে সৌন্দর্য উপহার দিতে কার্পণ্য করেননি। দুই হাত ভরে উজাড় করে সৌন্দর্য দিয়েছেন তাকে।

স্বর্ণকেশী এই সৌন্দর্যের রানী তার হাসির ঝলকানিতে, অপার সৌন্দর্যের মুগ্ধতায়, সুমিষ্ট কণ্ঠের আবেশে, তীক্ষ্ণ চাহনিতে মোহাবিষ্ট করে গেছেন সমগ্র বিশ্বের লাখ লাখ তরুণকে। তাই মৃত্যুর অর্ধশত বছর পরও সর্বকালের সেরা আবেদনময়ী তারকা ও অভিনেত্রী হিসেবে শীর্ষে স্মরণ করা হয় মেরিলিন মনরোর নাম

রুপালী জগতে প্রবেশের পূর্বে ক্ষণজন্মা এই অভিনেত্রীর নাম ছিল নর্মা জীন বেকার। ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে কাউন্টি নামক একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। “সংসার করতে হলে মডেলিং ছাড়তে হবে”- এমন পরিস্থিতিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রথম স্বামী জেমসের সাথে চার বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন।

১৯৪৬ সালে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন মনরো। সেখান থেকেই নর্মা জীন বেকার নাম পরিবর্তন করে পরিচিত হন মেরিলিন মনরো নামে। বাদামী চুলের রঙ পরিবর্তন করে তাতে প্লাটিনামের সোনালী আভা আনেন, পরবর্তীতে এই স্বর্ণালী চুলই তাকে অন্যদের থেকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে দর্শকদের কাছে।

প্রথম সিনেমায় খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ১৯৫০ সালে ‘অল অ্যাবাউট ইভ’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ে রাতারাতিই তারকা বনে যান তিনি।

পর্দায় তার খোলামেলা পোশাক সমালোচনার ঝড় তুললেও তিনি হয়ে ওঠেন লাখো তরুণের হৃদয়ের রানী। একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা দিয়ে যখন খ্যাতির শীর্ষে, ঠিক তখন প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ উন্মুক্তভাবে নিজেকে প্রকাশিত করেন ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে জীবনের নানা হতাশায় অধিক ওষুধ সেবন ও মদ্যপান শুরু করে কাজে অনিয়ম আর অমনযোগী হয়ে পড়েন। পরিচালকদের কাছেও অপ্রিয় হতে শুরু করেন।

শেষ বয়সে জন এফ কেনেডির সাথে ঘনিষ্টতার কাহিনী শোনা যায় তার। তবে সেই কাহিনী ডাল-পালা ছড়ানোর আগেই সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়ে মারা যান তিনি। রহস্যের কমতি ছিল না সেই মৃত্যুতেও। তবে মৃত্যু যেভাবেই হোক মাত্র ৩৬ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও তার হাসিতে মোহাবিষ্ট লাখ লাখ ভক্ত আজও লাস্যময়ী মেরিলিন মনরোর সৌন্দর্যের রহস্য খুঁজে বেড়ায়। সময় সংবাদ