দেশের অন্যতম গুণী ও সফল নাট্যনির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দিয়ে যিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন সিনেমা পর্দায়। সঙ্গে তার সংগীত কার্যক্রম তো রয়েছেই, এরমধ্যে গড়েছেন ব্যান্ড ‘ওমকার’।
সব মিলিয়ে, নাটক থেকে লম্বা সময় দূরে ছিলেন নির্মাণে উজ্জ্বল এই নির্মাতা। অবশেষে এই ঈদে সেই দূরত্ব ঘুচতে যাচ্ছে। সিএমভি’র ব্যানারে তিনি নির্মাণ করেছেন বিশেষ নাটক ‘চুপকথা’। যার মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের জনপ্রিয় দুই মুখ তৌসিফ মাহবুব ও নাজনীন নিহা।
গীতিকবি মহসীন মেহেদীর গল্পে নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন উজ্জ্বল নিজেই। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন হৃদয় সরকার। যাতে উঠে আসবে সমাজের বিত্তবান পরিবারের ভিন্ন এক প্রেমের গল্প।
যদিও নির্মাতা মনে করেন, এটি শুধু প্রেমের গল্প নয়। প্রেম ও প্রকৃতির গল্প বলা যেতে পারে। উজ্জ্বলের ভাষায়, ‘গল্পটা প্রেমের। তবে তারসঙ্গে সোসাইটির নানাবিধ প্রসঙ্গ এসেছে। আমার যে কোনও কাজে যেমনটা হয় আরকি। নির্মাণের সময় সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি বরাবরই মাথায় রাখি। এবারও তাই হলো। তবে এবার নাটক বানাতে গিয়ে মোটামুটি একটা সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি সম্ভবত। আমরা শুটিং করেছি শ্রীমঙ্গল-জাফলং হয়ে গাজীপুর হয়ে ঢাকায়। বেশ বড় আয়োজন ছিলো। ২৭ মে শুটিং শেষ করেছি।’
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল সর্বশেষ নাটক বানিয়েছেন ২০১৭ সালে ‘দাস কেবিন’। মানুষের অস্থিমজ্জায় সাম্রাজ্যবাদ ঢুকে যাওয়ার ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিলো নাটকটিতে। যা তখন বেশ প্রশংসা কুড়ায় দর্শক-সমালোচকের পক্ষ থেকে। এরপর টানা ৮ বছরের ইস্তফা। এরমধ্যে বানিয়েছেন দুটি সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ও ‘বনলতা সেন’। অবশেষে এই ঈদে ফিরছেন নাটকে, নির্মাণ করেছেন ‘চুপকথা’।
উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, এই নাটকের পাত্র-পাত্রীর প্রথম দেখা হয় কুমিরের খামারে! যে গল্পে উঠে আসবে, উচ্চবিত্তের প্রেম, জীবন ও ভাবনার নানান দৃশ্যপট।
‘চুপকথা’ নির্মাণ প্রসঙ্গে উজ্জ্বল বলেন, ‘এবারই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করেছি। কারণ, গল্পটা আমাকে টেনেছে। তৌসিফ-নিহা, প্রযোজক পাপ্পু ভাই, গল্পকার মেহেদী ভাইসহ পুরো টিম আমাকে প্রচুর সাপোর্ট দিয়েছেন। নাটকে ফিরে মোটামুটি আরাম পেয়েছি, বলা যেতে পারে।
আর এই ফেরা প্রসঙ্গে বলবো, আমি আসলে নাটকের অডিয়েন্স মিস করছিলাম। আমি মনে করি, এখনও আমাদের বড় সংখ্যক অডিয়েন্স রয়েছে নাটকে। ফলে সিনেমার জন্য এই মানুষগুলোকে লম্বা সময় এভয়েড করা ঠিক নয়। একটা সিনেমা বানাতে আমার ৪/৫ বছর সময় চলে যায়। সেই ফাঁকে নাটকের দর্শকদের জন্যও কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই নাটকে ফেরা।’
এদিকে ‘চুপকথা’ প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এই ঈদে সিএমভি’র ব্যানারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ এটি। কারণ, এর মাধ্যমে গুণী নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নাটক নির্মাণে ফিরেছেন। এই ঈদে ‘চুপকথা’ ছাড়াও সিএমভি’র ঈদ আয়োজনে থাকছে প্রায় এক ডজন বিশেষ নাটক। চাঁদরাত থেকে এগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে। সময়।