News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

কেন গরমে খাবেন কাঁচা আম?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2025-04-16, 7:31am

tt345345-6797fccbb0065e1afa5309ac1a330a831744767068.jpg

কাঁচা আম শুধু স্বাদেই ভালো নয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও অবদান রাখে। ছবি: সংগৃহীত



বৈশাখ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে শোভা বৃদ্ধি করতে থাকে গ্রীষ্মকালীন ফল আম। তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে ডায়েটে নিয়মিত রাখতে পারেন এ ফলটি।

কাঁচা আম কুচিয়ে তাতে লবণ ও চিনি মেখে খেতে অনেকে পছন্দ করেন। আবার অনেকে এর সঙ্গে কাসুন্দি মিশিয়ে খান। অনেকে তরকারি, ডাল কিংবা চাটনিতে আম ব্যবহার করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন রান্নায় আম ব্যবহার করা ভালো। তবে বেশি ভালো কাঁচা আম কুচিয়ে খেলে। পেটের সমস্যা এড়িয়ে চলতে চাইলে কাসুন্দি দিয়ে আম কুচির ভর্তা তৈরি করে না খাওয়াই ভালো।

কাঁচা আমে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারতা। আসুন এক নজরে তা জেনে নিই-

১। এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা গরমে আপনার শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে।

২। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটিতে চিনি কম থাকায় তা ওজন ও ক্যালরি কমাতে দারুণ কার্যকরী।

৩। বুক জ্বালাপোড়ায়, অম্লতা, বমিভাব, যকৃতের সমস্যা নিরাময় করতে ফলটি খেতে পারেন।

৪। গরমে প্রায় সবারই যে সমস্যা হতে দেখা যায় তা হলো, অতিরিক্ত ঘাম আর ঘামাচি। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে ত্বকে দেখা দেয় র‌্যাশ বা অ্যালার্জি। এ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন মৌসুমি এই ফলটি।

৫। আমের পুষ্টিগুণ রক্ত স্বল্পতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক।

৬। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্কার্ভিরোগ প্রতিরোধ করতে কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

৭। কাঁচা আমে রয়েছে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন উপাদান। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দুটি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

৮। ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচা আম হার্ট সুস্থ রাখে। এই দুটি উপাদান রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৯। কাঁচা আম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে অবদান রাখে।

১০। গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আম শরীরের এই ঘাটতি দূর করতে পারে নিমেষেই।

১১। মৌসুমি এই ফলটি ত্বক ও চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকালে বা দুপুরের ঝিমুনিভাব এড়াতে কয়েক টুকরো কাঁচা আম খেতে পারেন। এর টক স্বাদের জন্য যারা কাঁচা আম খেতে পারেন না, তারা কাঁচা আমের জুস করে খেলেও এর উপকার পেতে পারেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া