
আর্থ্রাইটিস হচ্ছে হাড় অথবা হাড়ের জোড়ার প্রদাহ। বাংলায় এটিকে বাতও বলা হয়। এই অবক্ষয়জনিত রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রায়। মূলত আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে আর্থ্রাইটিসের সমস্যাও জিনগত। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে এই সমস্যা মূলত দেখা যেত। এখন অল্পবয়সীরাও ভুগছে আর্থ্রাইটিসে। সেই সঙ্গে শিশুরাও আজকাল আক্রান্ত আর্থ্রাইটিসে।
চলুন জেনে নিই কীভাবে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি মেলে-
১. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর জয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চাপ দেয়। এ কারণে চেষ্টা করুন নিজের জন্য সঠিক ওজন বহন করার। এ জন্য আপনাকে সঠিক ডায়েট ফলো করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়ামে করতে হবে। এটি করে আপনি সহজেই হাঁটু ব্যথা কমাতে পারবেন।
২. কম প্রভাবযুক্ত ব্যায়ামে করুন: হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন না। আপনার রুটিনে সাঁতার, সাইকেল চালানো বা হাঁটার মতো কম প্রভাবিত ব্যায়ামগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করুন, যা জয়েন্টের নমনীয়তা উন্নত করতে এবং হাঁটু সমর্থনকারী পেশীগুলোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন উচ্চ প্রভাবমূলক ক্রিয়াকলাপগুলো এড়িয়ে চলুন।
৩. গরম এবং ঠান্ডা থেরাপি: আক্রান্ত হাঁটুতে তাপ বা ঠান্ডা প্যাক লাগালে ব্যথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরম প্যাকগুলো পেশী শিথিল করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যখন ঠান্ডা প্যাকগুলো জায়গাটি অসাড় করে দিতে পারে এবং ফোলা কমাতে পারে।
৪. সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার: সহায়ক ডিভাইস, যেমন হাঁটু বন্ধনী বা বেত, স্থায়িত্ব প্রদান করতে পারে এবং হাঁটু জয়েন্টে চাপ কমাতে পারে। আপনার নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সহায়ক ডিভাইসগুলো নির্ধারণ করতে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।
৫. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় প্রোটিন প্রয়োজনের তুলনায় কম খেতেই বলা হয়। তবুও প্রতিদিনের ডায়েটে টকদই, ডিম, ফল, প্রোটিন স্মুদি এসব অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন। নিয়ম করে প্রোটিন খেলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।