কয়েকজন গবেষক বলেছেন যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের আরও অবনতি হলে আর্কটিক সাগরের বরফ দ্রুত হলে ২০৩০’এর দশকের গ্রীষ্মকালে গলে যেতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি দল মঙ্গলবার নেচার কমিউনিকেশনস নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন।
তাদের এই পূর্বাভাস হচ্ছে সিমুলেশন করে চালানো এক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে, যেখানে ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের মধ্যেকার ৪০ বছর সময়সীমার পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর্কটিক সাগরের বরফ এলাকার উপর মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রভাব মূল্যায়ন করতে দলটি সেই পরীক্ষা চালায়।
শীত এবং বসন্তে আর্কটিক সাগরে বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্ম এবং শরতে সেটি হ্রাস পায়। সেপ্টেম্বর মাসে সেই এলাকার সমুদ্রে বরফের বার্ষিক পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
সিমুলেশনের ফলাফলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে “বরফ মুক্ত সাগর প্রথম যে সেপ্টেম্বর মাসে দেখা যাবে তা হচ্ছে দ্রুত হলে ২০৩০’এর দশক থেকে ২০৫০’এর দশকের মধ্যে।”
গবেষকরা বলছেন যে বিশ্ব এক “নজিরবিহীন বরফ-মুক্ত আর্কটিক জলবায়ুর” অভিজ্ঞতা পেতে পারে। এটা হলে আর্কটিক উষ্ণায়ন আরও ত্বরান্বিত হয়ে উঠতে পারে বলে তারা জানান।
গবেষকরা আরও বলেন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ যে আর্কটিকের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে তাদের ফলাফল সেটাই তুলে ধরছে।
গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে মানব সমাজ এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর বরফ মুক্ত আর্কটিক প্রভাব ফেলবে। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।