News update
  • Independence Day to be observed Sunday     |     
  • Gandhi says disqualification 'politically motivated'     |     
  • At least 23 killed in Mississippi tornado, storms     |     
  • ADB approves $23 crore loan for Bangladesh     |     
  • Nordic countries plan joint air defence to counter Russian threat     |     

রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় পোশাক উৎপাদনে ক্রেতা উদ্যোক্তা সব পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2023-03-17, 9:12am

image-83028-1678978219-ec9e0bed7d9cc0dc9d8c1bed3bf565181679022726.jpg




বিশ্বব্যাপী প্রতিকুল জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্কুলার ইকোনোমিতে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সব পর্যায়ে কার্বণ নি:সরণ কমানো জরুরি। একইসাথে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। অপচয় রোধে উপজাত বর্জ্যকে মূল্যবান কাচামালে পরিণত করতে হবে। এজন্য উৎপাদন কাঠামোতে রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর প্রয়োজন। এর জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ ও সহায়ক নীতি কাঠামো নিতে হবে। এই দায়িত্ব উদ্যোক্তা, ভোক্তা, ব্র্যান্ড ক্রেতা, উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার সব পক্ষকেই নিতে হবে। 

ঢাকায় সার্কুলার ইকোনোমি সামিটের বিভিন্ন অধিবেশনে এমন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। 

সামিটের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বক্তব্য রাখেন। 

সামিটে সার্কুলার ইকোনোমি সম্পর্কিত ৫টি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগী সরকারি বেসরকারি ৬০ জন বক্তা এসব অধিবেশেন বক্তব্য রাখেন। এ উপলক্ষ্যে ক্রেতা ব্র্যান্ডসহ ২০টি প্রতিষ্ঠান রিসাইকেল প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) সামিটের আয়োজন করেছে। দেশে এটি এ ধরণের চতুর্থ আয়োজন। 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দু’টি বিষয় সাসটেইনেবলিটি গতিশীল করতে পারে। প্রথমত সরকারি নীতি। দ্বিতীয় ভোক্তা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা এবং উন্নয়নসহযোগিসহ সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে  প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশি^ক ঝুকি এড়াতে অন্যান্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। 

আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন,  বাংলাদেশের পোশাকের  প্রধান গন্তব্য তার দেশ-এটা নিজের জন্য সম্মানের। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। সেজন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চান তারা। 

বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, এ বিষয়ে শ্রমিকের ভূমিকা বড়। তবে উদ্যেগের বিষয় হচ্ছে, এখনো অনেক শ্রমিক তাদের যথাযথ অধিকার পাচ্ছে না। অথচ টেকসই উন্নয়নের শর্ত হচ্ছে সবার অধিকার নিশ্চিত করা। শ্রমিকদের সুরক্ষা পণ্যের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করবে। তবে শ্রমিক অধিকার পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে যা প্রশংসাযোগ্য। 

পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শতভাগ কারখানার কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবেশ সহায়ক কারখানা নির্মাণে বড় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফলে শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে,-যা সার্কুলার টেকসই উন্নয়নের পথে সার্কুলার ইকোনমির যাত্রাকে আরও মসৃন করবে।  পোশাকসহ সব ধরণের শিল্পের জন্য সবুজ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, সার্কুলার ইকোনোমির স্বার্থে পোশাক খাতে রিসাইকেল পদ্ধতির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পুরনো কাপড়ের পোশাক বর্জ্য আমদানির অনুমতি দেবে সরকার। বর্তমানে এধরণের বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ। সচিব বলেন, উদ্যোক্তারা যদি ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে ব্যবহৃত কাপড় এনে রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় পুনরায় ব্যবহার করতে চান তাহলে সরকার এ সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন এনে সহায়তা দেবে। বর্তমানে ছয় হাজার টন বর্জ্য উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিতে বিজিএমইএ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা অর্জনে আরও বর্জ্যরে প্রয়োজন হবে। 

দিন ব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে অন্যান্য বক্তারা সার্কুলার ইকোনোমিতে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনার কথা জানান। বিশ্ব ব্যাপী পরিবেশ সচেতনা এবং প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ সংক্রান্ত নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ব্র্যান্ড ক্রেতারা রিসাইকেল্ড পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে। তথ্য সূত্র বাসস।