News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

গরমে এসি ও ফ্যানের বাজারে আগুন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-04-23, 11:29am

ljkwrweoriowp-8c206c5941e51c8f4cf6ab768516ebcf1713850404.jpg




রাজধানীসহ সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। গড় তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘরের ভেতরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বাইরে বের হলে যেন আগুনের আঁচ লাগে শরীরে। ঘরের ছোট ছোট বাচ্চারা কান্না করে গরমে। রাতে ঘুমাতে পারে না। গরমে দুর্বিষহ এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ভিড় করছে এসি ও ফ্যান দোকানে।

কয়েক দিন আগেও ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানগুলোয় এসির ক্রেতা ছিল না তেমন। তবে তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ায় দোকানে দোকানে বেড়েছে ক্রেতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ফ্যান ও এসির দামও। তাপপ্রবাহকে পুঁজি করে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসির দাম বেড়েছে টনপ্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। দাম বেড়েছে ফ্যানেরও।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট, পল্টন, বিজয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ঘুরে এসব দৃশ্যের দেখা মেলে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বাড়ার পেছনে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোর হাত নেই। তাদের মতে ডিলাররাই নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আরটিভি নিউজ

গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে একটি দোকানে এসি কিনতে ভিড় জমে যায় ক্রেতাদের। কারও এক টন কারও প্রয়োজন দুই টনের এসি। তারা দরদাম ঠিক করছেন। কেউ দাম শুনে এসি না কিনেই চলে যাচ্ছেন। মহাখালী থেকে আসা ক্রেতা মাহবুব হোসেন বলেন, গরমে অসহ্য হয়ে পড়েছি। ফ্যানের বাতাসে কাজ হয় না। তাই এসি কিনতে এসেছি। তবে এসির দাম অনেক বেশি। দুই সপ্তাহ আগে যে এসি ৪৫ থেকে ৫২ হাজারের মধ্যে পাওয়া যেত এখন সেটা ৬০ হাজার টাকার বেশি।

এসি কিনতে আসা রুকন মিয়া বলেন, দেড় টনের এসি কিনতে বাজারে এসে দেখলাম দাম বেশ চড়া। ভেবেছিলাম দাম কমলে দুদিন পর নেব, কিন্তু যে গরম পড়েছে তাতে এসিটাও খুব জরুরি। তাই তাড়াতাড়ি দুটনের একটি এসি নিয়ে নিলাম। তবে এলাকার খুচরা দোকানগুলোর চেয়ে এখানকার পাইকারি দোকানে এসির দাম কিছুটা কম আছে।

এসির পরিবেশক প্রতিষ্ঠান সরকার এন্টারপ্রাইজের শেয়ারহোল্ডার এসি দামের বিষয়ে বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে এসির চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর শুরু থেকেই প্রতিটি এসির দাম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি। এছাড়া ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে দেরি হওয়ায় পণ্য আসতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত মাসের শুরুতে যে এসির দাম ৩৫ হাজার ছিল, ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে ক্রেতারা বেশি দামে কিনছেন। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে গিয়ে পণ্য পর্যাপ্ত থাকছে না। ফলে কিছুসংখ্যক ক্রেতা ফেরতও যাচ্ছেন।

এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে। মান ও আকারভেদে দাম বেড়েছে ৩০০-৫০০ টাকা। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যান।