News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

চলতি অর্থবছরেও সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণ ও নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-07-01, 6:52am

tyeryeye-58f769af5ecd67a7b8cec4222967d2731719795203.jpg




চলতি বাজেটের আওতায় নতুন অর্থবছরেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন গাড়ি কেনা এবং বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকছে।

একই সঙ্গে পূর্তকাজ ও ভূমি অধিগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও সভার সম্মানীর ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না পেট্রোল, তেল, লুব্রিকেন্ট ও বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ে। চলতি মাসের শুরুতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থবিভাগ।

শুধু সরকারি তহবিল ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ রাখা হবে। তবে রাষ্ট্রের জরুরী কাজে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।

এছাড়া বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীদের আমন্ত্রণে এবং তাদের অর্থায়নে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, সরকারি অর্থায়ন ও উন্নয়ন সহযোগী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রদত্ত স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করা যাবে। অন্যদিকে, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারা পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিরীক্ষা ও পরিদর্শনে সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ যেতে পারবেন।

‘আগামী অর্থবছরে কোন কোন খাতে কৃচ্ছ্রতা সাধন করা হবে’- এই প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন অর্থবছরও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন গাড়ি, জলযান ও আকাশযান কেনা বন্ধ থাকবে। সরকারি অর্থায়নে আগামী অর্থবছরেও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্তকাজ ও ভূমি অধিগ্রহণে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হতে পারে। যদিও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও মিটিংয়ের সম্মানী থেকে খুব বেশি সাশ্রয় হয় না, তবু মানসিকভাবে কৃচ্ছ্রতার ধারণা পোষণ করতে এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সবকিছু ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বাজেটে কৃচ্ছ্রতা সাধনের সুযোগ কম থাকবে, কারণ বাজেটের আকার যেহেতু তুলনামুলকভাবে ছোট। চলতি অর্থ বছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ও পেট্রোল, তেল, লুব্রিকেন্টে বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করার নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী অর্থবছরে এসব খাতে বরাদ্দের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।’

এসবের কারণ হিসেবে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, দাম বাড়ার কারণে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ বিলে মোট বরাদ্দের ৮০ শতাংশ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো হলেও বাড়তি দামের কারণে বিল বাড়ছে। সেই সঙ্গে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার সরকারি অফিসগুলোতে জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই নতুন অর্থবছরে পেট্রোল, অয়েল, লুব্রিকেন্ট এবং বিদ্যুৎ বিল বাবদ বরাদ্দের শতভাগ ব্যবহার করা যাবে।

২০১৯ সালের পর থেকেই সরকার কৃচ্ছ্রতা সাধন নীতি অনুসরণ করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর দেশে ডলার সংকট শুরু হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অধিক হারে কমতে থাকায় কৃচছ্রতা সাধনে আরেকটু কঠোর হয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন থেকে সরে আসে সরকার। আরটিভি