News update
  • Israel warns 'Tehran will burn' if Iran attacks again     |     
  • Projectile hits central Tel Aviv amid warning of Iranian retaliation     |     
  • Dhaka condemns Israeli strikes on Iran as threat to peace     |     
  • 7 years on, Faridpur Bridge remains a broken promise     |     
  • Arab countries condemn Israel, call for restraint     |     

প্রচারণায় রেমিট্যান্সে ভাটা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-07-28, 12:40pm

img_20240728_123833-12c3affb6898227986cba69b401b589a1722148812.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সংঘর্ষ, কারফিউ এবং ইন্টারনেট বন্ধের কারণে গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে দেশে আট কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু গত জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাস জুলাইয়ের প্রথম ভাগে এক দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ। গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সাত কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছিল সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত জুন মাসে গড়ে প্রতিদিন রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল আট কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ইন্টারনেট বন্ধকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছে প্রবাসীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে রেমিট্যান্সপ্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ে আসা রেমিট্যান্স হতে পারে চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মাত্র একদিন ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে। এরপর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। কয়েক দিন লেনদেন বন্ধের পর ২৪ জুলাই চালু হয় ব্যাংক।

তবে সেদিন লেনদেন চলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৯ থেকে ২৩ জুলাই বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স আসাও সম্ভব ছিল না। এ সময়ের মধ্যে যারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, গত বুধবার ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই তা দেশের ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত সপ্তাহে রেমিট্যান্স কম এসেছে। এটা টেম্পোরারি (স্বল্পমেয়াদি)। এখন কম আসছে বলে ভবিষ্যতেও কমবে, তা বলা যাবে না। রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে পরিবারের হাতে যথাসময়ে টাকাটা পৌঁছাবে কি না, সে বিষয়ে প্রবাসীদের মনে সংশয় ছিল। তাই তারা রেমিট্যান্স পাঠাননি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। তবে এ হিসাব কিছুটা বাড়তেও পারে। কারণ টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। বুধ ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খুললেও কার্যক্রমের পরিসর ছিল খুবই ছোট আকারে। ব্যাংকগুলো কেবল নগদ জমা ও উত্তোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স এলেও সেটি পুরোপুরি রিকনসিলিয়েশন হয়নি। ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে এলে মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দেশে গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল। পরে সীমিত পরিসরে চালু হলেও এখনও ইন্টারনেটসেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারির পাশাপাশি দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকার কয়েকটি দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন তারা। সেসব সমাবেশ থেকে রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা করা হয়। আরটিভি নিউজ।