News update
  • Experts see Tarique's political future on optimistic note     |     
  • UN Chief Urges Leaders to Curb Warming, Protect Planet     |     
  • Tk 3.38cr Project to Restore Sonadia’s Biodiversity     |     
  • Global Emissions Fall Slowly, Experts Urge Renewables Push     |     
  • Hurricane Melissa: UN Appeals $74M to Aid 2.2M in Cuba     |     

বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চীনের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-09-14, 7:20am

7y8r7i8r3u423-8f530ba853000ae8c66f8dbc1b60816a1726276856.jpg




বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র সচিব জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিনো-আফ্রিকান যে শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে, সেখানে এমন একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

এর আগে ২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চালু করে, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল। তারও আগে ২০২০ সাল থেকে ৯৭ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে এই সুবিধা পেতো বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চীন থেকে ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হয় ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিগত এক মাসে চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যার পরিমাণ আট মিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি চীনে রপ্তানির পরিমাণ আগামীতে আরও বাড়বে। এরই মধ্যে চীনে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী বছর থেকেই এই রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো অন্যান্য ফলও রপ্তানি করা হবে।

২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ০.০৫ শতাংশ। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেন, চীনের আমদানি বাজেটের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলেও আমরা বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারবো।

অবশ্য অর্থনীতিবিদদের মতে, চীনের বাজারে বড় আকারে প্রবেশ করতে হলে বাংলাদেশকে তাদের রপ্তানি পণ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ মুহুর্তে এটি অনেকাংশেই তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। আরটিভি