News update
  • Dreams of returning home dashed by reality in Gaza City     |     
  • Hospitals overwhelmed in DR Congo, food running out     |     
  • Israel’s Ban on UNRWA to Undermine Ceasefire in Palestine     |     
  • Dhaka’s mosquito menace out of control; frustration mounts     |     
  • 10-day National Pitha Festival begins at Shilpakala Academy     |     

বন্দরে পড়ে আছে সাবেক এমপিদের দামি গাড়ি, সিদ্ধান্তহীনতায় কাস্টমস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-09-25, 1:49pm

yrtyreyery-9fbf3c1a170e0785e37360c46c8d94f31727250591.jpg




এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দরে আনা ৪২টি গাড়ির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১৫টি গাড়ি এসে পৌঁছেছে বন্দরে। দ্বাদশ সংসদের ১৫ জন সদস্যের নামে জাপান থেকে আনা এসব গাড়ির প্রতিটির বাজার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে সাজিয়ে রাখা হয়েছে জাপানের টয়োটা কোম্পানির ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের এসব গাড়ি। এগুলোর মালিক হওয়ার কথা ছিল সদ্য ভেঙে যাওয়া দ্বাদশ সংসদের সংসদ সদস্যদের। ৮৫০ শতাংশ শুল্কহার হিসাবে প্রতিটি গাড়ির বাজার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলেও সংসদ সদস্যরা মাত্র এক কোটি টাকায় মূল্যবান এসব গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ পেতেন।

তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই আমদানি করা অন্তত ৪২টি গাড়ি জব্দ করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ৭ জন সংসদ সদস্য জুলাই মাসেই গাড়ি খালাস করে নিয়েছিলেন। সবশেষ চালানে ১৪ সেপ্টেম্বর আনা হয়েছে আরও ১৫টি গাড়ি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পণ্য খালাসে ৩০ দিন সময় দেয়া হয় আমদানিকারকদের। এ সময়ের মধ্যে খালাস না হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পণ্য হস্তান্তর করা হয়। এরপর কাস্টমস তাদের নিয়মানুযায়ী পণ্য নিলামে তুলে।

দামি এ গাড়িগুলোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গাড়ির মধ্যেই এমপিদের নাম এবং নাম্বার লেখা আছে। এগুলো খালাস না হলে শিগগিরই কাস্টমসে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, সংসদ সদস্যদের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এসব গাড়ি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানামুখী জটিলতা। বিশেষ করে সংসদ কার্যকর থাকা অবস্থায় এসব গাড়ি আমদানির প্রক্রিয়া হয়েছিল। বর্তমানে যেহেতু সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে, তাই আগের সুবিধায় গাড়ি ডেলিভারি দেয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এ অবস্থায় আগে জব্দ হওয়া গাড়ির ভবিষ্যৎ জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে গত মাসেই চিঠি দিয়েছিল তারা।

অবশ্য সেই চিঠির এখনও জবাব আসেনি। গাড়িসহ আমদানি করা যে কোনো পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করা না হলে নিলামে বিক্রির জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এমপি সুবিধায় গাড়িগুলো খালাস হবে কিনা সেটির নীতিগত বা আইনি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নতুন চালানে আসা গাড়িগুলোর আমদানিকারক হিসেবে রয়েছেন অভিনেত্রী তারানা হালিম, ময়মনসিংহের আবদুল ওয়াহেদ, জামালপুরের আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস আল মামুন, বাঁশখালীর মুজিবুর রহমান, খুলনার এস এম কামাল হোসাইন, নওগাঁর সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, গাইবান্ধার শাহ সারোয়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এস এ কে একরামুজ্জামান, নেত্রকোনার সাজ্জাদুল হাসান, ঝিনাইদহের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, যশোরের তৌহিদুজ্জামান এবং সুনামগঞ্জের মুহাম্মদ সাদিক। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১৫ জন সাবেক এমপির আমদানি করা মূল্যবান গাড়ির অবস্থান এখন চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব গাড়ি ডেলিভারি নেয়া না হলে চলে যাবে নিলামে। তবে তারা আদৌ ডেলিভারি নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আইনি জটিলতা। কাস্টমসের পক্ষ থেকেও নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। দ্রুত এসব গাড়ি ডেলিভারি নাহলে কিংবা নিলাম না হলে পর্যায়ক্রমে স্ক্যাব হিসেবে বিক্রি হবে -- এমনটিই আশঙ্কা করছেন নিলামকারীরা।