News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

ট্রাম্পের জয়ে ১০ ধনকুবেরের পোয়াবারো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-11-09, 10:07am

f974dfb3e40d6ce1ec6af58d231877d7342dea4f715ed6e1-8b8bfee8eaaa753c3aa17573a37f956c1731125257.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যই সুখবর বয়ে আনেনি। সঙ্গে আরও অনেকের জন্যই সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। বিশেষ করে ধনকুবেরদের জন্য। রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়ের পরই হু হু করে বাড়ছে তাদের সম্পদ।

সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের কয়েকজন ধনকুবেরের রীতিমতো পোয়াবারো অবস্থা।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুয়ায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির সম্পদ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক দিনের মাথায় তাদের সম্পদ বেড়েছে ৬ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন ইলন মাস্ক। মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এর মালিক, এর ফলও বেশ ভালোভাবেই পেয়েছেন।

ট্রাম্পের জয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে তার। ব্লুমবার্গের হিসাব অনুসারে, ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের সম্পদ এক ধাক্কায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বেড়েছে। তার মোট সম্পদ এখন ২৯ হাজার কোটি ডলার।

সম্পদ বাড়ার এই তালিকায় আরও রয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ট্রাম্পের জয়ের পর বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ৭১০ কোটি ডলার।

এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে বেজোসের নির্দেশে তার মালিকাধীন গণমাধ্যমটি সমর্থন প্রত্যাহার করে।

ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। ট্রাম্পের জয়ের পর একদিনে এই ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

সম্পদ বৃদ্ধির এ তালিকায় আরও রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও স্টিভ বলমার, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট।

যদিও তাদের কেউই এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। কিন্তু অতীতে এই ধনকুবেরদের ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে।

২০১২ সাল থেকে ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেস্ক’ নামে শতকোটিপতির তালিকা করে আসছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তালিকা রাখার পর থেকে একদিনে শতকোটিপতিদের সম্পদ এতটা কখনও বৃদ্ধি পায়নি।

এর ব্যাখ্যায় ব্লুমবার্গ বলছে, ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় ব্যবসাবান্ধব আইন ও নীতিতে চলবে মার্কিন প্রশাসন-এমন প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারের শেয়ারের দামে এ উল্লম্ফন ঘটেছে। বিশেষ করে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে।

দাম বেড়েছে ট্রাম্পের নিজের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেরও। নির্বাচনের আগে দাম পড়ে গেলেও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তার সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।