News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

এলডিসি থেকে উত্তরণের পক্ষে শ্বেতপত্র কমিটি, তবে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-12-03, 10:40am

tyerter-7cf7e4a2a1c5aaf462b09fe49dd4f80a1733200828.jpg




হাসিনা সরকারের মনগড়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বানানো উন্নয়ন বয়ানের সমালোচনা করলেও একই উপাত্তের ওপর ভর করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছে শ্বেতপত্র কমিটি। যুক্তি হিসেবে নেপালের উদাহরণ টেনে কমিটি প্রধান বলছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন না করলে পতিত সরকার সমালোচনার সুযোগ পাবে। তবে এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তথা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে ২০২৬ সালে চূড়ান্তভাবে বের হওয়ার কথা বাংলাদেশের। হাসিনা সরকারের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই এ উত্তরণ ঘটবে বলে মত শ্বেতপত্র কমিটির। কিন্তু এসব তথ্যে অতিরঞ্জন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

কমিটি মনে করে এ গ্র্যাজুয়েশন বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগারগাঁয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কমিটি প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো দেশ না। দেশের সক্ষমতা, কার্যকারিতা ও আয়তন থাকার পরও এলডিসিতে থাকার কোনো কারণ নেই।’ 

বাণিজ্যসুবিধা হারানোর ভয় না করে গ্র্যাজুয়েশনের পথে থাকা উচিত বলে মত দেন কমিটির আরেক সদস্য গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, রফতানিকারকদের প্রণোদনা অল্প অল্প করে কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল; কিন্তু তারা সেটি মানতে নারাজ।  তবে এটি এখনই কমানো না হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর সমস্যা হতে পারে।

এদিকে, উত্তরণের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের ফাঁদে আটকে গেছে বলে জানান শ্বেতপত্র কমিটির সদস্য  ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আগে বলতাম বাংলাদেশ মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি আছে। এখন আর ঝুঁকি না, বাংলাদেশ আসলে মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়ে গেছে। বাংলাদেশের পদ্ধতিগত সংস্কার দরকার। হিসাবনিকাশ ও তথ্য-উপাত্তে ওপরের লেভেলের যে হস্তক্ষেপের সংস্কৃতি সেটির সবকটি দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।

তবে এলডিসি থেকে উত্তরণে তাড়াহুড়ো না করে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আরও বিচার-বিশ্লেষণ করার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা কখনোই গরিব দেশ হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। তবে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন থেকে উত্তরণে তাড়াহুড়ো না করে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আরও বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। এটা হলে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যসুবিধার পাশাপাশি স্বল্পসুদে ঋণগ্রহণের সুযোগও সংকুচিত হয়ে আসবে।