জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান থাকায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি। অধিদফতর বলছে, দুই-একদিনের মধ্যে শেষ হবে আপগ্রেডেশনের কাজ। এরপর থেকে আবারও সচল হবে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা।
পরিবারের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ মিলিয়ে হাতে থাকা অর্থ কোথায় রাখবেন, কোথায় কাজে লাগাবেন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন অনেকেই। দেশে বিনিয়োগের জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে—পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, জাতীয় সঞ্চয়পত্র, জমি ও স্বর্ণ কেনা এবং ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখা। সব খাতেই কম-বেশি ঝুঁকি ও সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। তবে বর্তমানে সবচেয়ে নিরাপদে টাকা বিনিয়োগের একটি খাত হতে পারে সঞ্চয়পত্র।
তবে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা। গ্রাহকের কাছে কোনো তথ্য না থাকায় সঞ্চয়পত্র কিনতে ব্যাংকে ভিড় করছেন তারা। ফলে বিভিন্ন ব্যাংকে ঘুরেও পাচ্ছেন না কোনো তথ্য। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে ইচ্ছুক রতন মন্ডল বলেন, ব্যাংকে এসে শুনি সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে কবে চালু হবে বিক্রি কার্যক্রম, সেটি জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে। এ কারণে বন্ধ রয়েছে ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত সার্ভার সচল করা সম্ভব হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত আপগ্রেডেশন কাজ শেষ করতে কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজটি করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে খুব শিগগিরই সার্ভার চালু হবে। আশা করা করা যাচ্ছে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে সচল হবে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা কার্যক্রম। সে পর্যন্ত গ্রাহকদের ধৈর্য ধরতে হবে।
এদিকে, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিম) মুনাফার হার বাড়ছে। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী এ হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ আইআরডিকে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ বিভাগের তৈরি এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। আর সুপারিশটি এসেছে অর্থসচিবের নেতৃত্বাধীন নগদ ও ঋণ ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিডিএমসি) থেকে। এ কমিটিকে সহায়তা করেছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ। সময়।