News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

মার্কিন-চীন বিরোধ, পোশাক খাতে সুবিধায় বাংলাদেশ!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-02-04, 10:40am

wrewrewrw-2007e4f48d52f97932a93087ab90a4e71738644013.jpg




চীনের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ শুল্কহার আরোপের ফায়দা পাচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কৌশলগত বাজার হিসেবে বিদেশি বায়ারদের কাছ থেকে জানুয়ারি মাসে রেকর্ড সংখ্যক অর্ডার পেয়েছেন তারা। হিসাব বলছে, এক মাসেই ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ।

গত ছয় মাসের টানা সংকটের মাঝেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সব রেকর্ড ভেঙেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ঢাকা জোন ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে ২ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য অর্ডার পেয়েছে। 

আর চট্টগ্রাম জোন ৪৫ দশমিক ৭২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে অর্ডার পেয়েছে ১৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, পরবর্তী মৌসুমের অর্ডার আগেই বুকিং নিয়ে নিতে হয়। যার কারণে অর্ডারের পরিমাণও বাড়ছে।

ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস থেকেই বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা আসন্ন ফল ও হলিডে মৌসুমের তৈরি পোশাকের অর্ডার পেতে শুরু করেন। মার্চ ও এপ্রিলজুড়ে চলবে এই পোশাক রফতানির জাহাজীকরণ।

এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন চীনের তৈরি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করেছে। এ অবস্থায় চীনের শুল্ক জটিলতা এড়াতে বিদেশি বায়াররা এখন বাংলাদেশমুখী হয়েছেন বলে মনে করছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।

ক্লিফটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এখন পিক আওয়ার মৌসুম চলছে। তাই এ সময় ব্যবসায়ীরা মানসম্মত পণ্য রফতানিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এ ছাড়া আগের অর্ডারগুলোও এখন একসঙ্গে ডেলিভারি হওয়ায় রফতানির পরিমাণ বাড়ছে।

বিজিএমইএর মতো বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এসেছে রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার। জ্যাকেট-ট্রাউজার ও ব্লেজারের অর্ডার এসেছে তুলনামূলক বেশি।

তবে জানুয়ারি মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জোনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫ হাজার ৮৮ কোটি টাকার অর্ডার পেলেও তা সাময়িক অগ্রগতি বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। এ অগ্রগতি ধরে রাখতে বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মত তাদের।

বিকেএমইএর পরিচালক ফৌজুল ইমরান খান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি ক্রেতারা চীনের বিকল্প আরও আগে থেকে খোঁজা শুরু করেছেন। যার প্রভাবে বাড়ছে দেশের রফতানি। এটা ধরে রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করছে। এর মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকা হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার।