News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি গায়েব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আদালত 2025-01-06, 9:44am

werewrewrw-23d1530b0f662709bbfbffec8d37bf481736135059.jpg




চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দায় রাখা ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) গায়েব হয়ে গেছে। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (৫ জানুয়ারি) এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা।

আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ছোটখাটো বিষয় নয় জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিচারিক কাজে সিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে সিডি জমা দিতে হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিডিতে মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ লিখে রাখেন। তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হলে নতুন কর্মকর্তাও একই সিডিতে বিবরণ লেখেন। সে অনুযায়ী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সিডি থাকলে ৫ থেকে ১০ বছর পরও সাক্ষ্য দিতে সুবিধা হয়। নইলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে। আসামিরা মামলা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

তবে কক্ষে জায়গা না থাকার কারণেই এসব নথি বাইরে রাখতে হয়েছিল বলে দাবি করে সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া জানান, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার নথি প্লাস্টিকের বস্তায় করে বারান্দায় রাখা ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।

কোতয়ালি থানায় করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

জিডির তথ্য নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। আরটিভি


Copied from: https://www.rtvonline.com/country/307470