দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বাপাউবো জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এতে আগামী দুদিন দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা প্রদেশে মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় দিনে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
প্রধান অববাহিকা অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী দুদিন আবার পানি সমতল বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী পাঁচ দিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল আগামী এক দিন হ্রাস পেলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মনু, খোয়াই, ধলাই, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, জিঞ্জিরাম, ভুগাই ও কংস নদীর পানি সমতল প্রথম দিনে স্থিতিশীল থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাপাউবো আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান, কক্সবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে তিস্তা, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংস নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে, যার ফলে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।