News update
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     

জনসনকে ইউরোপ মিশ্রভাবে বিদায় জানাল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2022-07-09, 7:53am




ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক ধরণের ঝাঁঝালো সম্পর্ক রয়েছে।

ইইউ এবং ব্রিটেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে সর্বতোভাবেসমর্থন করার ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষষণ করে। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জনসনকে তাঁর দেশের "সত্যিকারের বন্ধু" হিসাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রুশ রাজনীতিবিদরা জনসনের ক্ষমতা ত্যাগে আনন্দ উদযাপন করছেন। তবে ব্রাসেলস-ভিত্তিক ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টার গবেষণা গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক আমান্ডা পলের মতো কিছু বিশেষজ্ঞ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে জনসনের পদত্যাগ কিয়েভের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সাহায্য বা ইউরোপীয় ঐক্যকে দুর্বল করবে না।

পল বলেন, “আমি মনে করি, ডাউনিং স্ট্রিটে যে-ই আসুক না কেন সে-ই জেলেনস্কিকে একই রকম জোরালো সমর্থন দেবে। এই বিষয়টি যুক্তরাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ - প্রথমত, কারণ তারা বুঝতে পারে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকেই নিরাপত্তা হুমকির শুরু। দ্বিতীয়ত, যেহেতু বিশ্বের এই অংশটি - কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল, পূর্বাঞ্চল তারা সেখানে যে নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বরাবরই যুক্তরাজ্যের কাছে ইউক্রেন অগ্রাধিকার পেয়েছে। এটি যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক ব্রিটেন নীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।”

ইইউ এবং ব্রিটেনের বিষয়গুলির ক্ষেত্রে জনসনের সাথে ইইউ সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তিনি ছিলেন সেই নেতা যিনি কয়েক মাস ধরে তিক্ত আলোচনার পর ইইউ ব্লক থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট আলোচনার নেতৃত্বদানকারী ফরাসি রাজনীতিবিদ মিশেল বার্নিয়ার এক টুইট বার্তায় বলেন, জনসনের বিদায় দুই পক্ষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে “নতুন দিক উন্মোচন করবে” বলে তিনি আশা করছেন।

আইরিশ নেতা মাইকেল মার্টিন লন্ডনকে নর্দাণ আয়ারল্যান্ড সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করার চেষ্টা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন - সমালোচকরা দাবি করেছেন যে এ কাজে জনসন চাপ দিচ্ছেন।

জনসনের পদত্যাগ নিয়ে ইইউ'র নির্বাহী শাখা কোনো মন্তব্য করেনি।

ফ্রান্সে, যেখানে ব্রিটেনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শত শত বছর ধরে চলেছে , মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় লে মন্ডে সংবাদপত্র ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে জনসনের প্রস্থান ব্রেক্সিটের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। আরেকটি পত্রিকা , লে ফিগারো, এমন আভাস দিয়েছে যে ফরাসি রাষ্ট্রপতি সম্ভবত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

কিন্তু বিশ্লেষক পল বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ইইউ নীতি আমূল পরিবর্তন করার জন্য ইউরোপীয়দের লন্ডনের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।

পল বলেন, “আমি মনে করি, এদের মধ্যে কেউ কেউ আসলে বরিসকে মিস করবেন কারণ তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের জন্য। স্পষ্টতই তার কিছু শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও - তিনি এমন এক ধরণের লোক যার সাথে আপনার ভালবাসা ও ঘৃণার সম্পর্ক রয়েছে - আমি মনে করি ফরাসি এবং অন্যরাও মানুষটিকে পছন্দ না করে থাকতে পারেন না।”

ফ্রান্সে জনসনের অন্তত একজন অত্যন্ত পছন্দের লোক আছে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর পারপিগনানের উগ্র ডানপন্থী মেয়র লুই অ্যালিয়ট। যিনি ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ব্রিটেনকে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। আলিওট ফরাসি টেলিভিশনে বলেন জনসন হয়তো ভুল করেছেন কিন্তু তার নীতিমালা সঠিক ছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।