ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য মস্কো সফর করছেন।
দুই দিনের এই সফরে ভারতীয় মন্ত্রী তার রুশ সমকক্ষ সের্গেই ল্যাভরফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর রাশিয়ায় কোনো ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সস্তায় রুশ তেল ও কয়লা ক্রয়ের বিষয়ে ভারত যে নমনীয় অবস্থান নিয়েছে তার প্রতিই বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে নয়াদিল্লি, মস্কোর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে শত্রুতা শেষ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও ভাবছে।
সোমবার থেকে শুরু় হওয়া এই সফরের আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, সংঘাত নিরসনে ভারত সব সময় কূটনীতি ও সংলাপে ফিরে আসার ওপর জোর দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি মন্তব্য করেন, "আমি নিশ্চিত যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই এটির পুনরাবৃত্তি করবেন।"
ভারত প্রকাশ্যে এই সংঘাত নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি এবং মস্কোর আগ্রাসনের সমালোচনা করে জাতিসংঘের প্রস্তাব থেকে বিরত থেকেছে।
তবে বারবার বলেছে , তারা সংঘাতের বিরোধিতা করে এবং সহিংসতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর গত মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "আমরা বিশ্বাস করি, এই দ্বন্দ্ব অংশগ্রহণকারী বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, কারও জন্যই লাভজনক নয়।"
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ রাশিয়ার সাথে কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্ক এবং পশ্চিমাদের সাথে তার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টায় ভারত একটি বড় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে তাদের দীর্ঘদিনের সরবরাহকারী, সৌদি আরব ও ইরাককে পেছনে ফেলে রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেলের সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।
মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সুসম্পর্কও সুফল বয়ে আনছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।