News update
  • St Martin’s reopens, but no ships sail as overnight stays banned     |     
  • Chief Adviser directs armed forces to prepare for election security     |     
  • After rain ‘Moderate’ air quality recorded in Dhaka on Sunday     |     
  • Dealers blamed for artificial fertiliser shortage in Rangpur     |     
  • At Least 50 Dead as Caribbean Recovers from Hurricane Melissa     |     

ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে 'ইতিহাস রচনার' প্রতি চোখ জেলেন্সকির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2024-06-16, 7:55am

28acc5e3-1f49-4245-a97f-d628283b928a_w408_r1_s-6d52fbb8f48a39aec0c5208e24da4c861718502935.jpg




ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার সুইজারল্যান্ড আয়োজিত সম্মেলনে "ইতিহাস তৈরি হচ্ছে" বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। এ সম্মেলনটির লক্ষ্য ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে প্রথম পদক্ষেপ পরিকল্পনা করা। যদিও বিশেষজ্ঞরা এবং সমালোচকরা এর থেকে সামান্য পরিবর্তন বা তেমন বড় অগ্রগতির আশা করছেন না কারণ রাশিয়া এতে অংশ নিচ্ছে না।

ইকুয়েডর, আইভরি কোস্ট, কেনিয়া এবং সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টরা কয়েক ডজন পশ্চিমা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান ও অন্যান্য নেতা এবং উচ্চ-স্তরের দূতদের সাথে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, এই আশায় যে রাশিয়া একদিন যোগ দিতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।

সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ডের সাথে জেলেন্সকি সংবাদদাতাদের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইতোমধ্যেই সমাবেশটিকে সফল হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে বলেন, “আমরা বিশ্বে এই ধারণা ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছি যে যৌথ প্রচেষ্টা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে৷ আমি বিশ্বাস করি আমরা এই শীর্ষ সম্মেলনে একটি ইতিহাস তৈরীর সাক্ষী হব।”

সম্মেলনের আয়োজক সুইস কর্মকর্তারা বলেন, ৫০ টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা লেক লুসার্নের সামনে বার্গেনস্টক অবকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এ সমাবেশটিতে যোগ দিবেন। ইউরোপীয় সংস্থা এবং জাতিসংঘ সহ প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথে শাটল বাসগুলি একটি পাহাড়ী রাস্তা ধরে অনুষ্ঠানস্থলে এগিয়ে যায়। তারা মাঝে মাঝে ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ছিল, সাথে পুলিশ সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র চেক করেছিল এবং মাথার উপরে ভিআইপিদের বহনকারী হেলিকপ্টারগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

সুইজারল্যন্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে করমর্দন করছেন।

সুইজারল্যন্ডে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে করমর্দন করছেন।

ইতোমধ্যে, তুরস্ক এবং সৌদি আরব তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনটিতে পাঠিয়েছে। প্রধান উন্নয়নশীল দেশ যেমন সম্মেলনটিতে পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিম্ন পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।

চীন সম্মেলনটিতে যোগদানের বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি দেশের সাথে অবস্থান নিচ্ছে। দেশটি রাশিয়াকে সমর্থন করে। এই দেশগুলোর মধ্যে অনেকেরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সুদূর ইউরোপে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামলানোর রয়েছে। বেইজিং বলেছে, যে কোনো শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের অংশগ্রহণ থাকা প্রয়োজন এবং দেশটি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের নিজস্ব ধারনা প্রকাশ করেছে।

গত মাসে, চীন এবং ব্রাজিল ইউক্রেন সঙ্কটের একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে ছয়টি " অভিন্ন বোঝাপড়ার" উপর সম্মত হয়। তারা অন্যান্য দেশকে তাদের সমর্থন করতে এবং শান্তি আলোচনার প্রচারে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানায়।

ছয় দফার মধ্যে “উপযুক্ত সময়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের দ্বারা স্বীকৃত, সকল পক্ষের সমান অংশগ্রহণের পাশাপাশি সকল শান্তি পরিকল্পনার সুষ্ঠু আলোচনা করার প্রতি সমর্থন দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজন করার” একটি চুক্তি রয়েছে।

জেলেন্সকি ম্প্রতি সুইস সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের যোগদানের জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

রাশিয়ার সৈন্যরা এখন পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের প্রায় এক চতুর্থাংশ ভূমি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে কিছু এলাকা দখল করেছে। গত গ্রীষ্মে যখন সুইস আয়োজিত একটি শান্তি উদ্যোগের কথা শুরু হয়, ইউক্রেনীয় বাহিনী তখন সম্প্রতি খেরসনের দক্ষিণাঞ্চল এবং খারকিভের উত্তরাঞ্চলের শহরের কাছে উল্লেখযোগ্যভাবে বিশাল এলাকা পুনরুদ্ধার করে।

যুদ্ধক্ষেত্রের পটভূমি এবং কূটনৈতিক কৌশলের বিপরীতে, শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকরা তিনটি বিষয় আলোচ্যসূচীতে উপস্থাপন করেন: পারমাণবিক নিরাপত্তা, যেমন রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র; মানবিক সহায়তা এবং যুদ্ধবন্দীদের বিনিময়; এবং বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, যা কৃষ্ণ সাগরে প্রায় সময় চালানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে ব্যাহত হয়েছে।

সেই করণীয় তালিকাটিতে কিছু ন্যূনতম বিতর্কিত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ২০২২ সালের শেষের দিকে ১০ দফা শান্তি প্রস্তাবে জেলেন্সকি যে প্রস্তাব এবং আশাগুলি তুলে ধরেছিলেন, তার খুব অল্পই এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে উচ্চাভিলাষী আহ্বান, যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের সকল দখলকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার, যুদ্ধের অবসান এবং ক্রাইমিয়াসহ রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সীমানা পুনরুদ্ধার করা।

এদিকে, পুতিনের সরকার চায় যে কোনও শান্তি চুক্তি যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা করা যে খসড়া চুক্তি করা হয়েছিল তার উপর তৈরি হোক। এতে রাশিয়া-অধিকৃত এলাকাগুলির বিষয়ে আলোচনা বিলম্বিত করে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং তার সশস্ত্র বাহিনী সীমিত রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নেটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য ইউক্রেনের বছরের পর বছর প্রচেষ্টা মস্কোকে অসন্তুষ্ট করেছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, ইউক্রেন শক্তিশালী অবস্থান থেকে আলোচনা করতে অক্ষম।

শুক্রবার, পুতিন সম্মেলনটিকে "সকলের মনযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার আরেকটি চক্রান্ত" বলে অভিহিত করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, তারা যেকোন চূড়ান্ত দলিলের শব্দচয়ন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার দিকে নজর রাখবেন। সুইস কর্মকর্তারা সম্মেলনটির বিষয়ে রাশিয়ার অনীহা সম্পর্কে সচেতন। তারা বারবার বলেছেন, তারা আশা করেন যে রাশিয়া একদিন এই প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবে, যেমন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারাও আশা করেন। ভয়েস অফ আমেরিকা।