News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

গাজায় যুদ্ধবিরতির নেপথ্যের নায়ক কি ট্রাম্প?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-01-16, 12:49pm

rsererw-1f04bd5872da5915df296dd3e4e70a8b1737010142.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পরই সুগম হয় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের পথ। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপেই এ সমঝোতা সম্ভব হয়েছে, যা বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন করতে পারেনি। যদিও, চুক্তির বাস্তবায়ন ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

গেল নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর গাজায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এলো জানুয়ারিতে। মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের আগমন গাজায় যুদ্ধবিরতির পথের পাথেয় হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন যা করে দেখাতে পারেননি, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তা করে দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বন্দিদের জন্য আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। তারা শিগগিরই মুক্তি পাবেন। ধন্যবাদ।’

ট্রাম্পের চাপেই বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার আগে এ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের ডেপুটি ডিরেক্টর এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল। তবে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মিচেল।  

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, ইসরাইল গাজায় যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর তা এরমধ্যেই চালিয়ে ফেলেছে। সবদিক মিলিয়েই এ সিদ্ধান্তে (যুদ্ধবিরতির) আসা গেছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এ চুক্তি কি আসলেই বাস্তবায়ন হবে? ইসরাইল সরকার কি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে এবং ট্রাম্প প্রশাসন কি তা নিশ্চিত করতে পারবে?

এদিকে জেরুজালেমের সাবেক মেয়র ফ্লেউর হাসান নাহুম মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর হামাস ভয় পেয়ে গেছে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে ইসরাইলের অস্ত্রের কোনো ঘাটতি হবে না তা ধারণা করতে পেরেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনই গাজা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে জানান ইসরাইলের বিশেষ এই প্রতিনিধি।

হাসান নাহুম বলেন, আমরা সবাই স্বস্তি পেয়েছি যে যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে। একই সময়ে, হামাসকে বিশ্বাস করা যাবে কি না, সব জিম্মি দেশে ফিরে আসবেন কি না, আর এটি হামাসকে বিজয়ী করে কি না- সে সম্পর্কে ইসরাইলিদের অনেক মিশ্র অনুভূতি রয়েছে। কারণ এই যুদ্ধের শেষে হামাস এখনও তাদের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাবেন গাজাবাসী। এছাড়া ইসরাইলের আটকে রাখা ত্রাণ উপত্যকাটিতে সরবরাহ করা যাবে বলে মন্তব্য করেন আরেক বিশেষজ্ঞ, উইলসন সেন্টারের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক পরিচালক মেরিসা খুরমা। 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু এ পরিবর্তনে অভ্যন্তরীণভাবে বাইডেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্ত ছিল, তাই তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে উভয় পক্ষই চুক্তিতে বাস্তবায়নের নিয়ম মেনে চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে এবং দেখুন কীভাবে যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার বিষয়ে চিন্তা শুরু করা যেতে পারে

গাজার যুদ্ধবিরতি ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা জানান, একদিকে যুদ্ধবিরতির কারণে মন্ত্রিসভার অসন্তুষ্টি, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মানিয়ে চলার মতো উভয়মুখী চাপে পড়তে পারেন নেতানিয়াহু।